মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক প্রতীকী অবরোধ
প্রকাশ: ৬ জুন, ২০২৪
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে জন্য ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে মিছিলটি প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পাঁচ মিনিটের জন্য প্রতীকী অবরোধ পালান করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। অবরোধ চলাকালে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তাঁরা হুঁশিয়ারি জানিয়ে বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বলেন, ‘আমাদের যে আন্দোলন এটা বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন। আমাদের সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধের যে ঘোষণাপত্র আছে, সেখানে তিনটি মূলনীতি উল্লেখ আছে সাম্য, সামাজিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার। কোটা পদ্ধতি আমাদের এই তিনটি মূলনীতির বিরুদ্ধে। আমরা আমাদের সংবিধানের এই তিনটি মূলনীতি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করছি।’
কোটা পদ্ধতি থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁদের মেধার মূল্যায়ন পাবে না উল্লেখ করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আল মামুন। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সূর্য সন্তান। তাঁদের আমরা শ্রদ্ধা করি। তবে কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে আমাদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। কোটা পদ্ধতি থাকলে আমার মতো সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁদের মেধার মূল্যায়ন পাবে না।’
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনী হলের আবাসিক ছাত্র তৌহিদ সিয়াম বলেন, কোটা পদ্ধতির বাতিলের দাবিতে যে প্রজন্ম ২০১৮ সালে আন্দোলন করেছিল। সেই প্রজন্ম বেঁচে থাকতেই আবার কোটা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যাঁরা দিনের পর দিন পড়ালেখা করছেন, এর কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে তাঁদের প্রতি বৈষম্য করা হবে।