রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পিস্তলসহ জেলা যুবদলের সাবেক এক সভাপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লির একটি বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হওয়া ওই নেতার নাম আবুল হাসেম সুজন। তাঁর বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার মাটিপাড়া এলাকার বড়মুরারীপুর গ্রামে। তিনি রাজবাড়ী জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি। এ ছাড়া তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার।

আবুল হাসেম সুজন যে যুবদলের নেতা ছিলেন, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম শিকদার পিন্টু। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে রাজবাড়ী জেলা যুবদলের কমিটিতে আবুল হাসেম সুজন সভাপতি এবং তিনি (রেজাউল করিম) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। যদিও পরে আবুল হাসেম যুবদল ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার গভীর রাত থেকে আবুল হাসেম দৌলতদিয়া যৌনপল্লির ভেতরের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আইয়ুব আলীর বাড়িতে আসেন। এ সময় তিনি তাঁর কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে কয়েকজনকে দেখান এবং অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। খবর পেয়ে গতকাল দিবাগত রাত পৌনে চারটার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ওই বাড়ি ঘেরাও করে তাঁকে আটক করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পিস্তলের একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি গুলি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে আবুল হাসেম সুজনের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা করে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার রাতে আবুল হাসেম সুজন যৌনপল্লির একটি বাড়িতে আসেন। তাঁর কাছে গুলিসহ পিস্তল রয়েছে, যা তিনি বারবার প্রদর্শন করছিলেন। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যৌনকর্মীরা। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে অস্ত্রটি লাইসেন্স করা এবং সরকারি বড় বড় কর্মকর্তা তাঁর আত্মীয় বলে তিনি পরিচয় দিতে থাকেন। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, তিনি স্বাভাবিক ছিলেন না। পরে কৌশলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’