Advertisement

ব্রিকসে যোগ দিতে বাংলাদেশ কখনোই আবেদন করেনি:

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট, ২০২৫

ব্রিকসে যোগ দিতে বাংলাদেশ কখনোই আবেদন করেনি:
ব্রিকসে যোগ দিতে বাংলাদেশ কখনোই আবেদন করেনি:

অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসে যোগ দিতে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই আবেদন করেনি বলে জানিয়েছে রাশিয়া।

সোমবার (১৮ আগস্ট) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে রাশিয়া দূতাবাসের কূটনীতিক অ্যান্টন চেরনেভ এ কথা বলেন।

রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য রাশিয়ান সিনেমার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও বক্তব্য রাখেন রাশিয়া দূতাবাসের রাজনৈতিক কনস্যুলার চেরনেভ।

মতবিনিময়কালে রাজনৈতিক কনস্যুলারের কাছে বাংলাদেশের ব্রিকসের সদস্য পদ পাওয়া নিয়ে জানতে চাওয়া হয়।

এ সময় অ্যান্টন চেরনেভ বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব সময় ব্রিকস জোটে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে ব্রিকসের সদস্য পদে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই লিখিত আবেদন করেনি বাংলাদেশ। সদস্য পদ পেতে হলে প্রথমে তো আবেদন করতে হবে।

ব্রিকস হলো ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা—এই পাঁচ দেশের একটি অর্থনৈতিক জোট। দেশগুলোর আদ্যক্ষর অনুযায়ী ব্রিকসের নামকরণ করা হয়েছে। ২০০৬ সালে ব্রিকসের যাত্রা শুরু হয়।

বাংলাদেশ ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর ব্রিকস-ব্যাংকের সদস্য হয়। এই ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক নাম দ্য নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি), যা ব্রিকস সদস্যরা প্রতিষ্ঠা করে ২০১৫ সালে।

২০২৩ সালের জুনে তৎকালীন সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ঢাকার গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, ব্রিকসে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে বাংলাদেশ।

যদিও ওই বছরের আগস্টে ব্রিকসের ১৫তম বৈঠক শেষে ছয়টি দেশকে ওই জোটে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। সে হিসেবে নতুন সদস্য পাওয়া দেশগুলো হলো সৌদি আরব, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া, মিশর এবং ইথিওপিয়া।

অনুষ্ঠানে অ্যান্টন চেরনেভ আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ায় অপপ্রচার চলছে। এর বিপরীতে নির্ভরযোগ্য সংবাদ পেতে রাশিয়ার নিজস্ব গণমাধ্যমও উৎস হতে পারে।

অনুষ্ঠানে রাশিয়ার তিনটি সিনেমা প্রদর্শন করা হয়। এই সিনেমা তিনটি হলো, ফ্রন্টলাইন ডায়েরি অব অ্যান অ্যামেরিকান অফিসার, শ্যাপিং অ্যান ইক্যুয়েল অ্যান্ড ইন্ডিভিজিবল সিকিউরিটি আর্কিটেকচার ও ফ্রম রাশিয়া উইথ হার্ট।

টিআর/এএটি

Lading . . .