Advertisement

জলাবদ্ধতায় নাকাল দেবিদ্বার পৌরবাসী

মানবজমিন

প্রকাশ: ৮ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

নানা সমস্যায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভার হাজার হাজার মানুষকে। বর্ষার সময় অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাল ভরাট, নিয়মবহির্ভূত যত্রতত্র বাড়িঘর নির্মাণে স্বাভাবিক পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে বৃষ্টি হলেই ঘর থেকে বের হতে পারে না পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাইলচরের বাসিন্দারা। স্থানীয়রা জানান, বছরের বেশির ভাগ সময়ই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় পৌরসভার নাগরিকদের। সামান্য বৃষ্টিতেই অধিকাংশ এলাকায় তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। ফলে স্কুলগামী শিশু কিশোর, বয়োবৃদ্ধ নারী-পুরুষ, অসুস্থ রোগীদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে ওঠে ময়লা পানি। পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় দিনের পর দিন দুর্গন্ধযুক্ত নোংরা ও ময়লা-আবর্জনা মিশ্রিত পানির মধ্যে বসবাস করতে হয় তাদের। ফলে পানিবাহিত রোগ ও মশার উপদ্রবে চলাফেরায় চরম বিপাকে পড়েন পৌর বাসিন্দারা। সরজমিন দেখা যায়, ওই এলাকায় বিভিন্ন মহল্লার ভেতরে অনেক সড়কে জমেছে এক হাঁটু পানি। একটু নিচু এলাকায় ঘরের মধ্যে ঢুকে গেছে পানি। কোথাও নেই কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। এলাকার ৭০ শতাংশ রাস্তা কাঁচা। এসব এলাকায় অনেকে ঘরের মেঝেতে বা বারান্দায় অস্থায়ী চুলায় রান্নার কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ২২ বছরেও তাদের এলাকায় কোনো উন্নয়ন হয়নি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ও কাঁচা রাস্তার কারণে বর্ষাকালে চলাচল করা যায় না। পার্শ্ববর্তী বড়আলমপুরে কৃষি জমিসহ ওই এলাকার পুরো পানি সাইলচরের ওপর দিয়ে যায়। এতে করে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে রয়েছে তারা। দ্রুত ৫০০ মিটার ড্রেনসহ পাকা না করলে এ এলাকার মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে। পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হানুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি না থাকায় অনেক এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়রা সমস্যাগুলো নিয়ে আবেদন করলে আমরা যথাযথ চেষ্টা করবো কাজ করার জন্য। বরাদ্দ এলে জরুরি কাজগুলো দ্রুত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।

আরও পড়ুন

Lading . . .