Advertisement

সবাইকে 'বাংলাদেশি' পরিচয় ধারণ করতে হবে,

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

সবাইকে 'বাংলাদেশি' পরিচয় ধারণ করতে হবে,
সবাইকে 'বাংলাদেশি' পরিচয় ধারণ করতে হবে,

দীর্ঘদিন থেকে পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, দেশের সব নাগরিককে 'অখণ্ড বাংলাদেশ ও সবাই বাংলাদেশি' এই পরিচয়কে ধারণ করতে হবে।

শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিনের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র যেন সফল হতে না পারে— সবাইকে সজাগ থাকতে হবে এবং 'অখণ্ড বাংলাদেশ ও সবাই বাংলাদেশি' এই পরিচয়কে ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, কোনো একক ভাষা, ধর্ম বা সংস্কৃতি একটি জাতি (ন্যাশন) গঠন করতে পারে না। একটি জাতি গঠিত হয় সব ভাষাভাষী, ধর্ম, সংস্কৃতি এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সমন্বয়ে। একটি ঐক্যবদ্ধ, গণতান্ত্রিক এবং শক্তিশালী রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য সব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, উপজাতি এবং সব সত্তাকে বাংলাদেশি হতে হবে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের সবার পরিচয় হবে আমরা বাংলাদেশি। আমাদের জাতীয়তা বাংলাদেশি এবং আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে এবং দেশকে এগিয়ে নিতে এটাই আমাদের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত।

স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বলে জাতিকে বিভক্ত করা যাবে না মন্তব্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে 'বাণিজ্য' হয়েছে এবং রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছে, যার ফলে জাতি বিভক্ত হয়েছে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বলে জাতিকে বিভক্ত করার মানসিকতা দেখা গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের সমস্ত মানুষ মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে এবং স্বাধীনতার পক্ষে ছিল। যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়, স্বাধীনতার পরেও তাদের মধ্যে প্রকাশ্যে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার মতো কোনো মানসিকতা দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, ২৪ এর ছাত্র-জনতার প্রত্যাশা ছিল একটি বৈষম্যহীন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করা। এই লক্ষ্যেই বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের চেষ্টা করছে।

ইএসএস/এমইউএম

Lading . . .