Advertisement

সালমান মেয়েদের ভীষণ চোখে চোখে রাখতেন : সেলিনা

ঢাকা পোস্ট

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্লকবাস্টার সিনেমা 'নো এন্ট্রি' মুক্তির দু'দশক পরেও দর্শক-হৃদয়ে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। সম্প্রতি, এই ছবিতে সানজানা সাক্সেনার চরিত্রে অভিনয় করা সেলিনা জেটলি 'স্ক্রিন' ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শুটিংসেটে তার অভিজ্ঞতা, সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ছবির সিক্যুয়েল নিয়ে কথা বলেছেন।

সেলিনা জানান, প্রথমে তাকে বিপাশা বসুর করা ববির চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি সানজানা চরিত্রের সঙ্গে বেশি সংযোগ অনুভব করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমাকে বিপাশার চরিত্রটি দেওয়া হয়েছিল। ওই চরিত্রটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি সত্যিই চরিত্রটি যেভাবে তৈরি হয়েছিল তা খুব পছন্দ করি। এমনকি, ওই চরিত্রে কিছু সুন্দর গানও ছিল, যা একজন অভিনেতা সবসময় পেতে চাইবেন।’

শুটিংয়ের প্রথম দিনের কথা বলতে গিয়ে সেলিনা বলেন, আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে একটি বিলাসবহুল ভিলার মধ্যে শুটিং করছিলাম। আমার প্রথম দৃশ্য ছিল সেই বিখ্যাত লিভিং রুমের সিকোয়েন্স, যেখানে অনিল কাপুরের চরিত্র তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছে বলে মনে করে, কিন্তু পরে বুঝতে পারে সেটি আমি, এবং সে শক পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়্র।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল, কারণ আমি নবাগত হয়ে ভারতীয় সিনেমার একজন মহান অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করছিলাম। এক সময় তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমার লম্বা চুল আসল কি না। যখন আমি তাকে নিশ্চিত করলাম যে এটি আসল, তখন তিনি হেসে বললেন যে আমি চুল লম্বা ও স্বাস্থ্যকর রেখেছি দেখে তিনি খুশি। এই ছোট আলোচনাটি আমার সব জড়তা ভেঙে দিয়েছিল।’

সালমান খানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সেলিনা বলেন, সালমান সেটে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি প্রাণশক্তি নিয়ে আসতেন। তিনি তখন খুবই ব্যস্ত ছিলেন। মরিশাসের 'নো এন্ট্রি'র শুটিংয়ের পাশাপাশি তিনি অন্য দুটি ছবিতেও কাজ করছিলেন, তবুও তিনি খুব মজার ছিলেন এবং মেয়েদের প্রতি খুবই রক্ষনশীল ছিলেন। অনিলজি তার উদ্দীপনা, উদারতা এবং সীমাহীন শক্তি দিয়ে সবার মন জয় করে নিতেন, এবং তিনি পেশাদারিত্বের এক উজ্জ্বল উদাহরণ ছিলেন। তাকে কাজ করতে দেখা এক ধরনের মাস্টারক্লাস ছিল। ফারদিন এবং আমার মধ্যে আগেই একটি ভালো সম্পর্ক ছিল, যা একসঙ্গে কাজ করাকে আরও সহজ করে তুলেছিল।

'নো এন্ট্রি ২' এর সিক্যুয়েল নিয়ে সেলিনা জানান, তার কাছে কোনো প্রস্তাব আসেনি, কিন্তু তিনি মূল ছবির অংশ হতে পেরে গর্বিত।

তিনি বলেন, ছবিটি একটি মেগা ব্লকবাস্টার হয়েছিল এবং আজও মানুষের হৃদয়ে তা বেঁচে আছে। সম্ভবত, আজকের দিনে প্রতিটি বিষয়কে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়। তবে, অনীসজির গল্পের সরলতা এবং এটিকে চিরন্তন করে তুলেছে, আর সে কারণেই মানুষ আজও এত ভালবাসা দেয় ছবিটিকে।

এনএইচ

Lading . . .