Advertisement

ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করতে গিয়ে কেন চিৎকার করে ওঠেন ঐশ্বরিয়া, আজও রহস্য

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করতে গিয়ে কেন চিৎকার করে ওঠেন ঐশ্বরিয়া, আজও রহস্য
ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করতে গিয়ে কেন চিৎকার করে ওঠেন ঐশ্বরিয়া, আজও রহস্য

বলিউডের অন্যতম স্মরণীয় রোমান্টিক ছবি ‘হামারা দিল আপকে পাস হে’। এতে পর্দায় জুটি হয়ে এসেছিলেন অনিল কাপুর ও ঐশ্বরিয়া রাই। তাদের রসায়ন দেখে মুগ্ধ হয়েছিল দর্শক। কিন্তু এই ছবির এক ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় ঘটে গিয়েছিল অপ্রত্যাশিত এক ঘটনা। চিৎকার করে সেট ছাড়েন ঐশ্বরিয়া। বাধ্য হয়েই বন্ধ থাকে শুটিং।

কী হয়েছিল সেদিন? ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেল বিস্তারিত। ছবির একটি বেডরুমে চলছিল দৃশ্যটির শুটিং। সেটে সব প্রস্তুত। বিছানায় শুয়ে আছেন অনিল কাপুর ও ঐশ্বরিয়া। পরিচালকের নির্দেশে ঘনিষ্ঠতায় এগিয়ে যান অনিল। হঠাৎ চিৎকার করে ওঠেন ঐশ্বরিয়া।

সঙ্গে সঙ্গে শুটিং থেমে যায়। সেটে নেমে আসে স্তব্ধতা। ঐশ্বরিয়া দ্রুত উঠে গিয়ে সোজা মেকআপ রুমে চলে যান। টিমের অনেকেই তখন হতবাক। কি হয়েছিল কেউই কিছু বুঝতে পারছিলেন না। সেই রহস্য আজও কাটেনি।

জানা গেছে, ঐশ্বরিয়ার সেই চিৎকার শুধু একজন নতুন অভিনেত্রী হিসেবে ঘাবড়ে যাওয়ার জন্য ছিল না। বরং দৃশ্যটির প্রকৃতি এবং সেটে অনিলের অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা তার অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যদিও পরে পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে তিনি দৃশ্যটি শেষ করেন। তবে সেই প্রথম রিঅ্যাকশন আজও রয়ে গেছে বি-টাউনের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। অনিল কাপুরকেও দীর্ঘদিন এই দৃশ্য নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগতে হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে ২০০০ সালে যখন ঐশ্বরিয়া রায় বলিউডে একদমই নতুন। ‘তাল’ সিনেমায় প্রশংসা পেলেও তখনও তিনি পুরোপুরি গ্ল্যামার ও বাস্তবতার ভারসাম্যে মানিয়ে নিতে ব্যস্ত। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অস্বস্তি ছিল তখনকার ঐশ্বরিয়ার জন্য স্বাভাবিক।

ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করতে গিয়ে কেন চিৎকার করে ওঠেন ঐশ্বরিয়া, আজও রহস্য

ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করতে গিয়ে কেন চিৎকার করে ওঠেন ঐশ্বরিয়া, আজও রহস্য

অন্যদিকে অনিল কাপুর তখন ৯০ দশকের প্রতিষ্ঠিত সুপারস্টার। তার সঙ্গে রোমান্টিক দৃশ্যে জুটি বাঁধা ছিল ঐশ্বরিয়ার ক্যারিয়ারের বড় সুযোগ।

জানা যায়, এই ছবির পরিচালক সতীশ কৌশিক মূলত অন্য কাউকে খুঁজছিলেন অনিলের বিপরীতে। প্রথমদিকে ঐশ্বরিয়াকে নিতে নারাজ ছিলেন তিনি। কিন্তু অনিল কাপুর নিজেই নাকি পরিচালককে বলেন, ‌‘ঐশ্বরিয়া-ই পারফেক্ট। ওকে একবার সুযোগ দাও।’

এই তদবিরেই শেষমেশ ছবিতে জায়গা পান সাবেক বিশ্বসুন্দরী। আর বাকিটা ইতিহাস।

Lading . . .