Advertisement

অপ্রতিরোধ্য ব্রিটজকে, ২৭ বছরের আক্ষেপ ঘোচাল দক্ষিণ আফ্রিকা

নয়াদিগন্ত

প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ম্যাথু ব্রিটজকে |সংগৃহীত
ম্যাথু ব্রিটজকে |সংগৃহীত

স্বপ্নের চেয়েও অবিশ্বাস্য হয়ে উঠেছেন ম্যাথু ব্রিটজকে। থামানোই যাচ্ছে না এই প্রোটিয়া ব্যাটারকে, অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটছেন তিনি। তুলে নিয়েছেন অভিষেকের পর টানা পঞ্চম ফিফটি!

চোটের কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে খেলতে পারেননি ব্রিটজকে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশে ফিরেই খেলেন ৭৭ বলে ৮৫ রানের ইনিংস। তাতেই গড়েন অনন্য এক কীর্তি।

অভিষেকের পর থেকে টানা পাঁচ ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। যে রেকর্ড নেই আর কারো। তার এমন রেকর্ডের দিনে বহু বছরের আক্ষেপ দূর হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।

২৭ বছর পর এই প্রথম ইংল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় কোনো ওয়ানডে সিরিজ জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৮ সালে সর্বশেষ ঘটেছিল এমন ঘটনা। এরপর থেকেই চলছিল সিরিজ জয়ের খরা।

লর্ডসে বৃহস্পতিবার রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ রানে জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে হারায় ইংল্যান্ডকে। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল প্রোটিয়ারা।

ইংল্যান্ডের মাটিতে সবশেষ যখন দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, ম্যাথু ব্রিটজকের তখন জন্মই হয়নি! সেই ব্রিটজকেই বনে গেলেন ২৭ বছরের আক্ষেপ ঘোচানোর নায়ক।

বৃহস্পতিবার টসে হেরে আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৩৩০ রান। লর্ডসে ওয়ানডেতে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। আর এই মাঠে রান তাড়ায় তিন শ’ বেশি করার নজির ছিল কেবল একটিই।

২০০২ সালে ৩২৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় স্মরণীয় জয় পেয়েছিল ভারত। সিরিজে ফিরতে ইংল্যান্ডকে তাই গড়তে হতো এখানে সর্বোচ্চ রান তাড়ার নতুন রেকর্ড। তবে ইংলিশরা এবার যেতে পারে ৩২৫ রান পর্যন্ত।

ব্রিটজকে ছাড়াও ফিফটি করেন ট্রিস্টান স্টাবস। ৬২ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাছাড়া এইডেন মার্করাম ৪৯ ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিস করেন ২০ বলে ঝড়ো ৪২ রান। ৩৫ রান করেন রায়ান রিকেল্টন।

জবাবে ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট হারালেও জো রুট, জ্যাকব বেথেল ও জস বাটলারের ফিফটি লড়াইয়ে রাখে ইংল্যান্ডকে। রুট ৭২ বলে ৬১, বেথেল ৪০ বলে ৫৮ ও ৫১ বলে ৬১ রান করেন বাটলার।

৫ উইকেটে ২৫৬ থেকে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ৪৭ ওভারে ২৯০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে। তবে জফরা আর্চারের ১৪ বলে ২৭ রান লড়াইয়ে রাখে ইংল্যান্ডকে। ১৬ রানের প্রয়োজন দেখা দেয় শেষ ওভারে, হাতে ১ উইকেট।

প্রথম ৫ বলে আসে ৯ রান। ম্যাচ সুপার ওভারে নিতে শেষ বলে মারতে হতো ছক্কা। বেরিয়ে এসে ঠিকমতো খেলতে পারেননি আর্চার, নিতে পারেন এক রান। ৫ রানে জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকে ছয়টি দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজের পাঁচটিতেই হেরে গেল ইংল্যান্ড। এই বছর ১১ ওয়ানডে ম্যাচের ৮টিতে হারল তারা।

আরও পড়ুন

Lading . . .