আমিরাতকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পাকিস্তান
প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যেকার চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে সবার আগে ফাইনালে উঠল সালমান আলি আগার দল। শারজাহতে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৩১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠল তারা।
এদিন শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান, তখনই হাল ধরলেন ফখর জামান ও মোহাম্মদ নওয়াজ। তাদের রেকর্ড জুটি দলকে এনে দেয় লড়াইয়ের পুঁজি। পরে লেগ স্পিনার আবরার আহমেদের ঘূর্ণিতে ভর করে সহজ জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
এই জয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত হলো আফগানিস্তানেরও। টানা তিন হারে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই বিদায় নিশ্চিত হলো আমিরাতের।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও এক শ’ রানের আগেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। তখন বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা ছিল না। তবে ফখর ও নওয়াজের ব্যাটে রূপ নেয় নাটকীয়তা। শেষ দুই ওভারে আসে ৪২ রান। শেষ ১০ বলে আসে ৮ চার ও ১ ছক্কা।
ফখর ১০ চার ও ২ ছক্কায় খেলেন ৪৪ বলে অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংস। নওয়াজ ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৭ বলে অপরাজিত ৩৭। দুজন মিলে ষষ্ঠ উইকেটে ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন, যা টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ষষ্ঠ উইকেট বা তার নিচে সর্বোচ্চ জুটি।
কিন্তু ম্যাচের নায়ক ছিলেন আবরার আহমেদ। সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পেয়ে চার ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে নিলেন ৪ উইকেট। এটি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
১৭১ রানের জবাবে আমিরাত থামে ১৪০ রানে। একাই লড়াই চালান ওপেনার আলিশান শারাফু। ৫১ বলে করেন ৬৮ রান। তবে অন্য প্রান্তে কেউ দাঁড়াতে পারেননি।
আবরারের ঘূর্ণিতে ভেঙে পড়ে আমিরাতের ব্যাটিং। সপ্তম ওভারে প্রথম বলে ফেরান মুহাম্মাদ ওয়াসিমকে। একই ওভারে আউট করেন আসিফ খান ও রাহুল চোপড়াকে। নিজের শেষ ওভারে তুলে নেন হার্শিত কাউশিকের উইকেট।
শেষ দিকে শারাফু ফিফটি পূর্ণ করলেও তাকে থামান শাহিন শাহ আফ্রিদি। এরপর ধ্রুব পারাশারের ছোট ইনিংসে কেবল হারের ব্যবধান কমে।
অন্যদিকে, হারের দিনেও কীর্তি গড়েছেন আমিরাতের জুনাইদ সিদ্দিক। পাকিস্তানের ইনিংসে একটি উইকেট নিয়ে তিনি ছুঁয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলক, যা প্রথম কোনো আমিরাতি বোলারের কীর্তি।