Advertisement

বিসিসিআইয়ের কোষাগারে আছে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বিসিসিআইয়ের কোষাগারে অর্থের পরিমাণ বাড়ছেইএএফপি
বিসিসিআইয়ের কোষাগারে অর্থের পরিমাণ বাড়ছেইএএফপি

ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই যে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড, এ কথা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির মুখে উঠে এসেছে। কিন্তু কতটা ধনী, কী পরিমাণ অর্থ আছে—সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। অবশেষে সামনে এসেছে বিসিসিআইয়ের আর্থিক সক্ষমতার আনুমানিক অঙ্ক।

ক্রিকবাজ জানিয়েছে, ভারতীয় বোর্ডের কোষাগারে থাকা অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার কোটি রুপির বেশি। ২০২৪ সালের বার্ষিক সাধারণ সভায় জমা দেওয়া হিসাব অনুসারে, বিসিসিআইয়ের ব্যাংক ব্যালান্স ছিল ২০ হাজার ৬৮৬ কোটি রুপি, যা সর্বশেষ ১২ মাসে নিশ্চিতভাবেই বেড়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভায় হালনাগাদ হিসাব উপস্থাপন করা হবে।

গত বছরের বার্ষিক সাধারণ সভায় জমা দেওয়া হিসাবের বিবরণের একটি অংশে বলা হয়েছে, ‘মাননীয় সেক্রেটারি সদস্যদের জানিয়েছেন যে ২০১৯ সাল থেকে বিসিসিআইয়ের নগদ ও ব্যাংক ব্যালান্স বেড়েছে। ২০১৯ সালে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোকে কোনো অর্থ বিতরণ করার আগে এই পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৫৯ কোটি রুপি। আর বর্তমানে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোকে সব পাওনা পরিশোধ করার পরেও এই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৮৬ কোটি রুপিতে।’

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ সাল থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরে বিসিসিআইয়ের কোষাগারে যোগ হয়েছে ১৪ হাজার ৬২৭ কোটি রুপি। এর মধ্যে ২০২৩–২৪ সালেই বেড়েছে ৪ হাজার ১৯৩ কোটি রুপি। একই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিসিসিআই ৩ হাজার কোটি রুপির বেশি করের জন্য আলাদা করে রেখেছে, ‘২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য বিসিসিআই আয়কর বাবদ ৩ হাজার ১৫০ কোটি টাকা ধার্য করেছে। যদিও বিসিসিআই আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে সঠিক পথেই আছে, তবু করসংক্রান্ত যেকোনো বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য তারা ব্যবস্থা করে রেখেছে।’

২০২৩-২৪ সালের নিরীক্ষিত হিসাবের বিবরণে তুলে ধরা হয়, ব্যাংক আমানত থেকে বিসিসিআইয়ের সুদ বাবদ আয় আগের বছরের ৫৩৩.০৫ কোটি রুপি থেকে বেড়ে ৯৮৬.৪৫ কোটি রুপি হয়েছে। এর বাইরে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোকে বিতরণের জন্য ২০২৩–২৪ মৌসুমে ১ হাজার ৯৯০.১৮ কোটি আর ২০২৪–২৫ মৌসুমের জন্য ২ হাজার ১৩.৯৭ কোটি রুপি বরাদ্দের কথাও জানানো হয় বার্ষিক সাধারণ সভায়।

Lading . . .