Advertisement

গেইলকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ সাকিবের

চ্যানেল আই

প্রকাশ: ২৬ আগস্ট, ২০২৫

সাকিব আল হাসান ব্যাট-বলের পারফরম্যান্সে একের পর এক ইতিহাস গড়ে চলেছেন। বাংলাদেশের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার টি-টুয়েন্টিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৫০০ উইকেট ও ৭ হাজার রানের ‘ডাবল’ স্পর্শ করছেন। এগিয়েছেন আরও এক রেকর্ডের দিকে। রেকর্ডটি ম্যান অব দ্য ম্যাচের।

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) রোববার অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডার হয়ে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে ম্যাচসেরা হয়েছেন ৩৮ বর্ষী সাকিব। প্রথম ওভারে রিজওয়ানকে ফেরানোর পর নিজের পরের ওভারে তুলে নেন আরও দুই উইকেট। ফেরান কাইল মেয়ার্স ও নাভিন বিদাইসিকে। তাতে সাকিবের উইকেট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০২টিতে। ব্যাট হাতে ১৮ বলে করেন ২৫ রান। ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও ওঠে সাকিবের হাতে।

টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে এ নিয়ে ৪৪ বার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেন সাকিব। ধরে ফেললেন আন্দ্রে রাসেলকে। ১০৭ ম্যাচ কম খেলেই ছুঁয়ে ফেললেন ক্যারিবীয় তারকাকে। সাকিব খেলেছেন ৪৫৭ ম্যাচ এবং রাসেল ৫৬৪টি।

রশিদ খান ও শোয়েব মালিককেও ছাড়িয়ে গেছেন সাকিব কম ম্যাচ খেলেই। ৪৮৭ ম্যাচ খেলে আফগান লেগ স্পিনার রশিদ ম্যাচসেরা হয়েছেন ৪৩ বার, পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মালিক ৪৩ বার সেরা হয়েছেন ৫৫৭ ম্যাচ খেলে।

সাকিবের ঠিক ওপরে এখন অ্যালেক্স হেলস। ৫০৬ ম্যাচ খেলে ৪৫ বার ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পেয়েছেন ইংলিশ ব্যাটার। ৭১০ ম্যাচ খেলে ৪৭ বার সেরা হয়েছেন কাইরেন পোলার্ড। হেলস ও পোলার্ড খেলছেন এবারের সিপিএলে। ম্যাচসেরার রেকর্ডে নিজেদের আরও এগিয়ে নেয়ার সুযোগ তাদের আছে।

৪৮৬ ম্যাচ খেলে ৪৮ বার সেরা হয়ে রেকর্ডের দুইয়ে আছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তিনিও খেলছেন এবং এই কীর্তিতে এগিয়ে নেয়ার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে ক্রিস গেইলের ক্যারিয়ার শেষ। আপাতত সবাইকে ছাড়িয়ে বেশকিছুটা এগিয়ে আছেন তিনি। ৬০ বার ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি ৪৬৩ ম্যাচ খেলেই। ম্যাক্সওয়েল-সাকিবদের সামনে রয়েছে গেইলকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ।

সিপিএলে প্রথম পাঁচ ম্যাচ মিলিয়ে চার ইনিংসে ৫ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পান সাকিব। যেখানে নিতে পারেন শুধু ১ উইকেট। ক্রমেই বাড়তে থাকে ৫০০ উইকেটের অপেক্ষা। ৫০০ ও ৭ হাজার রানের ‘ডাবল’ স্পর্শ করে সাকিব বলেছেন, ‘এই অর্জনের পেছনে অনেক কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। মাইলফলক স্পর্শ করতে পেরে আমি খুব খুশি। লম্বা ক্যারিয়ারে, যা অর্জন করতে পেরেছি, আমি খুশি।’

‘গত কয়েক ম্যাচে আমি বেশি বোলিং করতে পারিনি। তাই কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। পাশাপাশি খুব বেশি ওভার বোলিং না পাওয়ায় কিছুটা নেতিবাচকতাও কাজ করছিল। কারণ সাধারণত আমি আরও বেশি বোলিং করি। তবে এটা পুরোটা দলের জন্য। যখনই আমার সুযোগ আসবে, অবদান রাখার চেষ্টা করব।’

সাকিবের সঙ্গে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে আছে পরিবারের সদস্যরাও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিতই স্ত্রী ও তিন সন্তানের সঙ্গে ছবি পোস্ট করছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। তার মতে, পরিবার কাছে থাকলে অনেককিছু সহজ হয়ে যায়।

‘পরিবার সবসময়ই আমার সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় যেত। তবে তিন সন্তান নিয়ে, তাদের স্কুলের কারণে কঠিন হয়ে গেছে। তাদের এখন গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। তাই এখানে এসে থাকতে পারছে। এটি ভালো ব্যাপার। যখন বয়স বাড়তে থাকে, তখন পরিবার পাশে থাকলে অনেক স্বস্তি কাজ করে।’

Lading . . .