Advertisement

দুই বছর আগেই বিশ্বকাপের পরিকল্পনা প্রস্তুত করে ফেলেছে দ. আফ্রিকা

নয়াদিগন্ত

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট, ২০২৫

বিশ্বকাপকে বরণ করতে মুখিয়ে আছে আফ্রিকা |ইন্টারনেট
বিশ্বকাপকে বরণ করতে মুখিয়ে আছে আফ্রিকা |ইন্টারনেট

বিশ্বকাপকে বরণ করতে মুখিয়ে আছে আফ্রিকা। দুই বছরের বেশি সময় বাকি থাকলেও আগেভাগেই সারছে প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে সাজিয়ে ফেলেছে বিশ্বকাপের পরিকল্পনাও।

২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ মাঠে গড়াতে এখনো দুই বছরের বেশি বাকি। বৈশ্বিক এই আসর বসবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সাথে থাকবে জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়া।

বিশ্বকাপের ১৪তম এই আসরকে সামনে রেখে ভেন্যু ও সূচি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা। জানিয়েছে ২০২৭ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে হবে এবারের আসর।

টুর্নামেন্টে গড়াবে মোট ৫৪টি ম্যাচ। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা একাই আয়োজন করবে ৪৪টি ম্যাচ। বাকি ১০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায়।

দক্ষিণ আফ্রিকার আটটি শহর বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ভেন্যুগুলো হলো জোহানেসবার্গ, প্রিটোরিয়া, কেপটাউন, ডারবান, গিকেবারহা, ব্লুমফন্টেইন, ইস্ট লন্ডন ও পার্ল।

জানা গেছে, বিশ্বকাপে অংশ নেয়া ১৪ দল দু’টি গ্রুপে লড়বে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ তিন দল যাবে সুপার সিক্স পর্বে। এই ফরম্যাট ২০০৩ বিশ্বকাপেও ব্যবহার হয়েছিল।

স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে। আয়োজক হলেও নামিবিয়া যেহেতু আইসিসির পূর্ণ সদস্য নয়, তাই তাদের বাছাইপর্ব খেলতে হবে।

এছাড়া ৩১ মার্চ ২০২৭ পর্যন্ত আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। র‍্যাঙ্কিংয়ে এই মুহূর্তে দশে থাকায় বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে শঙ্কায় আছে বাংলাদেশ।

এর আগে, ২০০৩ সালে শেষবার আফ্রিকা মহাদেশ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছিল। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সহ-আয়োজক হিসেবে ছিল কেনিয়া।

২৪ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতে যাওয়া বিশ্বকাপ সফলভাবে আয়োজন করতে গঠিত হয়েছে লোকাল অর্গানাইজিং কমিটি বোর্ড (এলওসিএ), যার চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক মন্ত্রী ট্রেভর ম্যানুয়েল।

সিএসএ চেয়ারম্যান পার্ল মাফোশে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো এমন একটি বৈশ্বিক আসর আয়োজন করা, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বহুমুখী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ঐক্যবদ্ধ চেহারা বিশ্বকে দেখাবে। এটি হবে ভিন্ন আবহের একটি টুর্নামেন্ট, যা খেলোয়াড় ও দর্শক সবার জন্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

আরও পড়ুন

Lading . . .