প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ায় চলমান টপ এন্ড টি-টুয়েন্টিতে গ্রুপ পর্বে প্রথম পাঁচ ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জিতেছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তাই সেমিফাইনালে যেতে শেষ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না লাল-সবুজদের। অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে সেই ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
ডারউইনে শনিবার টসে জিতে আগে ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ১৮.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স। তাতে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় তারা। সেমির টিকিট পেতে জয়ের পাশাপাশি আফিফ-সোহানদের মেলাতে হতো নেট রানরেটের কঠিন সমীকরণও। কিন্তু এসবের কিছুই করতে পারল না তারা।
ব্যাটে নেমে শুরুটা ভালো করলেও বোলিংটা খুব ভালো হয়নি বাংলাদেশ এ দলের। নাঈম শেখ ও জিসান আলমের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৮ রান। জিসান অর্ধশতক পূর্ণ করেই আউট হন, দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। সোহান দ্রুত ফিরলেও আগ্রাসী মেজাজে খেলেন আফিফ হোসেন। তার ইনিংসে চারটি চার ও তিনটি ছক্কার মার ছিল। ইয়াসির আলিকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ২৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭০ রানের জুটি। তাতে শেষপর্যন্ত ১৭৫ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্স একাডেমির হয়ে হানো জ্যাকবস নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট, খরচ করেন ৩৩ রান।
বড় পুঁজি নিয়েও কোনোরকম প্রতিরোধই গড়তে পারেননি বোলাররা। অ্যাডিলেডের দুই ওপেনার ম্যাককেঞ্জি হার্ভি ও জ্যাক উইন্টারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায়। ম্যাককেঞ্জি পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখাও। ৫৩ বলে ১৫ চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ১০২ রানের একটি ঝলমলে ইনিংস খেলেন তিনি।
আরেক ওপেনার উইন্টার করেছেন ৩৫ বলে ৩৫ রান। এ ছাড়া ১৪ বলে অপরাজিত ২৫ রান আসে হ্যারি মেন্নাতির ব্যাট থেকে।
বাংলাদেশের হয়ে ২৮ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন সাইফ।