Advertisement

খলনায়ক থেকে মহানায়ক, যেভাবে ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করলেন সিরাজ

নয়াদিগন্ত

প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২৫

মোহাম্মদ সিরাজ |ইন্টারনেট
মোহাম্মদ সিরাজ |ইন্টারনেট

খলনায়ক থেকে নায়ক, বলা যায় মহানায়কও। যে কীর্তি গড়েছেন ওভালে, তাতে মোহাম্মদ সিরাজকে যেকোনো বিশেষণেই বিশেষায়িত করা যায়। এভাবেও প্রায়শ্চিত্ত করা যায়!

হয়ে যেতে পারতেন খলনায়ক। সেই পথেই হাটছিল সময়। তার কারণেই ভারত প্রায় হারতে বসেছিল ওভালে। হ্যারি ব্রুকের ‘ক্যাচ’ মুঠোয় জমিয়েও ছক্কা বানিয়ে পড়েছিলেন রোষানলে।

হওয়ারই কথা, সেই ব্রুক যে এরপর খেলেছিলেন ৯৮ বলে ১১৫ রানের ইনিংস! যেখানে ভর করে জয়ের দুয়ারে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড, চতুর্থ দিন শেষ করে জয় থেকে মাত্র ৩৫ রান দুরে থেকে। হাতে তখনো ৪ উইকেট।

সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো হয়তো অসম্ভব কিছু নয়, তবে কঠিন কাজ বটে। ফলে সবাই ধরেই নেয় ইংল্যান্ড জিততে চলেছে। গণমাধ্যমেও শিরোনাম, ‘ইংলিশরা ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে।’

ইতিহাসই তো বটে, ওভালে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটা ২৬৩ রানের, যা ১২৩ বছর, ১৯০২ সালে। সেই একবারই আড়াই শ’ পেরিয়ে জিতেছিল ইংল্যান্ড। অথচ এবার করতে হতো ৩৭৪ রান।

৬ উইকেটে ৩৩৯ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করার পর পঞ্চম দিনে প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। আর সেখান থেকেই ভারতকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। ৬ রানে জিতে যায় ভারত।

শেষ চার উইকেটের তিনটাই তার। সব মিলিয়ে ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। এর আগে, প্রথম ইনিংসেও নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। দুই ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরাও।

অবিশ্বাস্য এই জয়ের পর দীনেশ কার্তিককে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মোহাম্মদ সিরাজ জানান ভিন্ন এক গল্প। জানান, সোমবার সকালে উঠে ‘বিলিভ’ লেখা একটি ছবি ওয়ালপেপারে ‘সেভ’ করে রেখেছিলেন।

তবে শুধু ‘বিলিভ’ শব্দ নয়, সাথে ছিল একজনের ছবিও। সেটা কার? সংবাদ সম্মেলনে সিরাজ নিজেই সেটা প্রকাশ্যে এনেছেন পরে। তবে তিনি তার পরিবার বা ক্রিকেটে কেউ নয়, ছিলেন ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।’

সিরাজ বলেন, ‘দেখুন, এই ছবিটাই মোবাইলের ওয়ালপেপারে রেখেছিলাম। আসলে বিশ্বাসই ছিল যে আমি পারব। ম্যাচ থাকলে অন্যান্য দিন সকাল ৮টায় উঠি। আজ (সোমবার) ৬টায় উঠে পড়েছিলাম।’

‘বিশ্বাস ছিল যে আমি পারব। তাই ঘুম থেকে উঠেই ফোনে গুগল খুলেছিলাম। তারপর এ ছবিটা বেছে নিয়ে ওয়ালপেপার করে রাখলাম। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

মূলত রোনালদোর কট্টর সমর্থক সিরাজ। উইকেট নেয়ার পর সিআর সেভেনের ধাঁচে ‘সি-ই-ই-উ’ সেলিব্রেশন প্রায়ই করে থাকেন। সোমবারও এমনটা দেখা গেছে বার বার।

ইংল্যান্ডকে হারাতে আর নিজেকে তাঁতিয়ে দেয়ার জন্য বেছে নিয়েছিলেন প্রিয় তারকার ছবিই। শেষ পর্যন্ত সফলও হয়েছেন সিরাজ।

সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজটা ভালোই কেটেছে সিরাজের। দুই দলের একমাত্র পেসার হিসেবে সিরিজের প্রথম থেকে শেষ বল পর্যন্ত খেলেছেন তিনি। আর সর্বোচ্চ ২৩ উইকেটও তার দখলে।

আরও পড়ুন

Lading . . .