Advertisement

পাকিস্তানের এমন হারে হতাশ তারকা

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে হেরে যায় পাকিস্তান। ১৪ সেপ্টেম্বর রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান করতে পারেনি পাকিস্তান। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় ২৫ বল আগেই ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পায় ভারত।

ভারতের বিপক্ষে হাতাশজনক পারফরম্যান্সে দলের উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা।

‘সামা টিভি’তে আফ্রিদি সাইমের আউটটি য়ে বলেছেন, ‘ম্যাচ জিততে হলে এসব ব্যাটসম্যানকে রান করতে হবে। সাইম আইয়ুবের মাথা ঠান্ডা রাখা উচিত, নিজেকে তার এটা বলা উচিত। কন্ডিশন ও পিচ দেখে প্রথম বলটা খেলতে হবে। কিন্তু তুমি প্রথম বল থেকেই শহীদ আফ্রিদি হওয়ার চেষ্টা করছ।’

হারিস রউফ ও হাসান আলীর মতো অভিজ্ঞ দুই পেসারকে বিশ্রামে রেখে ভারতের মুখোমুখি হওয়ারও সমালোচনা করেন আফ্রিদি, ‘জেনুইন ফাস্ট বোলারদের বিশ্রাম দেওয়া হলো। ভারতের বিপক্ষে উদ্যমহীন আক্রমণভাগে কাজ হবে না। এ মুহূর্তে দলকে জেতানোর মতো একটি ব্যাটসম্যানও নেই।’

ভারতের তিন পেসার কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল ও বরুণ চক্রবর্তীকে ভালোভাবে খেলতে পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। বাঁ হাতি কবজির স্পিনার কুলদীপ ১৮ রানে নেন ৩ উইকেট। তাঁর বৈচিত্রের সামনে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ভুগেছেন বলে মনে করেন দেশটির কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম। সনি স্পোর্টসকে আকরাম বলেছেন, ‘তাকে তারা (পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান) বুঝতে পারেনি। সানি ভাইও (সুনীল গাভাস্কার) বলেছেন, হাত থেকে তাকে পড়তে না পারলে বোলিং বোঝা সম্ভব নয়। কুলদীপের এক বল পরপর সুইপ করার অর্থ হলো, কেউ তার বোলিং বুঝতে পারছে না।’

ভারতের জয়ের পর সনি স্পোর্টসে আলাপচারিতায় গাভাস্কারও পাকিস্তান দলকে ধুয়ে দেন, ‘আমার কাছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল বলে মনে হয়নি। দেখে মনে হয়েছে “পোপাটওয়াড়ি দল”।’

ভারতের ক্রিকেটের কিংবদন্তি গাভাস্কার মুম্বাই থেকে উঠে এসেছেন। মুম্বাইয়ের ক্রিকেটে ‘পোপাটওয়াড়ি দল’ বেশ প্রচলিত শব্দ। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার দিলীপ সারদেশাই মুম্বাইয়ের ক্লাব ক্রিকেটে এই শব্দের প্রচলন করেছিলেন বলে ২০১৩ সালে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল দেশটির সাময়িকী ‘ওপেন’। বোলিংয়ে দুর্বল দলকে ‘পোপাটওয়াড়ি’ বলতেন তিনি।

Lading . . .