বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে গালি হজমের অভিজ্ঞতা জানালেন ভারতের হর্ষিত রানা
প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

একে অপরের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন সৌম্য সরকার ও হর্ষিত রানা। রেফারির ভূমিকায় সাই সুদর্শন। তিনি বুঝিয়ে–শুনিয়ে আউট হওয়া সৌম্যকে মাঠ ছাড়তে বলছেন। ভাবতে পারেন এমনটা আবার কবে হলো!
ঘটনাটি ২০২৩ ইমার্জিং এশিয়া কাপে সেমিফাইনাল ম্যাচে। সে ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ভারত ‘এ’ দলের খেলোয়াড়দের অনেক গালি দিয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারতের পেসার হর্ষিত রানা। জাতীয় দলের খেলোয়াড় হয়েও সৌম্য গালিগালাজ করেছেন বলেই নাকি তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন ভারতের ক্রিকেটাররা, এমনটাই বলেছেন হর্ষিত।
কলম্বোয় ওয়ানডে সংস্করণের সে ম্যাচে ২১১ রানে গুটিয়ে যায় আগে ব্যাটিং করা ভারত এ দল। জবাবে বাংলাদেশ এ দল বিনা উইকেটে ৭০ রান তোলার পরও ম্যাচ হারে ৫১ রানে।
এই ম্যাচ নিয়ে সম্প্রতি জনপ্রিয় ইউটিউব পডকাস্ট চ্যানেল টিআরএস ক্লিপসে কথা বলেছেন হর্ষিত, যা ইউটিউবে এসেছে গতকাল। সেখানে তিনি দাবি করেন, ‘ভারত–বাংলাদেশ ম্যাচে সব সময় লড়াই হয়। সেদিন আমরা আগে ব্যাটিং করেছিলাম, ১৬০ (২১১ রান) এর আশপাশে অলআউট হয়ে যাই। ব্যাটিংয়ের সময় ওরা আমাদের অনেক গালি দিয়েছে। যশ ধুল ও আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম প্রচুর গালি শুনেছি।’
ভারত জাতীয় দলে গত বছর অভিষেক পেসার হর্ষিতের। জাতীয় দলের হয়ে এ পর্যন্ত ২টি টেস্ট, ৫টি ওয়ানডে ও ১টি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন। হর্ষিত যোগ করেন, ‘আউট হয়ে বাইরে গিয়ে আমরা মাঠের গালি নিয়ে আলোচনা করছিলাম, সিতাংশু কোটাক (কোচ) স্যার শুনে আমাদের বলেছিল “তোমাদের বলেছি, আমরা শান্তিপূর্ণ ক্রিকেট খেলব। ওখানে লড়াই চাই না। আমরা জিতে জবাব দেব।” ওদের একটা বাঁহাতি স্পিনার অনেক গালি দিয়েছিল।’ বাংলাদেশের সেই দলে একমাত্র বাঁহাতি স্পিনার ছিলেন রাকিবুল হাসান।
সৌম্য সরকারের সঙ্গে ঝামেলা নিয়ে হর্ষিত বলেছেন, ‘আমরা সবাই অনূর্ধ্ব–২৩ ক্রিকেট খেলতে গিয়েছি। সে (সৌম্য) ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, যা হয়েছে তার সঙ্গে সে যুক্ত ছিল। ভিডিওটা দেখলে বুঝবেন, আমি নিজের মতো উল্লাস করছিলাম। সে (সৌম্য) আমাকে কিছু বলেছে এবং সেখান থেকেই কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর ওদের অনেক ব্যাটসম্যানও গালি হজম করেছে। শেষ পর্যন্ত আমরা ম্যাচটা জিতেছিলাম।’
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা হয়েছিল কি না, এই প্রশ্নে হর্ষিত বলেছেন, ‘ওদের কারও সঙ্গে কথা হয়নি। এরপর শুধু রেফারির সঙ্গে কথা হয়েছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও ওই দলের অনেকে ছিল, কারও সঙ্গে কথা হয়নি।’