ঢাকায় বিখ্যাত হওয়া খুবই সহজ: নুহাশ হুমায়ূন
প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ভৌতিক ঘরানার সিনেমা দিয়ে আলোচনায় এসেছেন তরুণ নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন। সেই ভৌতিক ঘরানার সিনেমা নির্মাণের পেছনের গল্প ও দেশের ভৌতিক ঘরানার সিনেমাসহ সম্প্রতি নানা বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্র সংসদের একটি আয়োজনে কথা বলেন নুহাশ। সেখানে আলোচনায় এই তরুণ নির্মাতা জানান, ‘ঢাকায় বিখ্যাত হওয়া সহজ।’ কেন বলেছেন এ কথা।
বাংলাদেশের কাজগুলোকে দেশের বাইরে ছড়িয়ে দিতে চান এই তরুণ। এ সময় তিনি জানান, তাঁর সিনেমা একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছে, সেগুলো প্রশংসিত হচ্ছে।
নুহাশ বলেন, ‘প্রথম আমি “ইতি, তোমারই ঢাকা” সিনেমা দিয়ে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে যাই। বেশ কয়েকটি গল্পের একটি ছিল আমার নির্মিত। সেখানে বিভিন্ন দেশের দর্শক ছিলেন। তাঁরা দারুণভাবে সিনেমাটি উপভোগ করছিলেন। আমার সিনেমাটির অনেক অংশে কমেডি ছিল। সেই অংশ দেখে সবাই হাসছিলেন। সেই ঘটনাটাই আমার জীবনটা বদলে দেয়। সেই ঘটনাটা আমাকে একটা অনুভূতি দেয়, আমার কাজটা শুধু নিজের দেশের জন্য নয়। এটার আন্তর্জাতিক একটা ভ্যালু রয়েছে।’
বুসানের সেই ঘটনা নুহাশকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছিল। সেই সময়েই তিনি চেয়েছিলেন দেশের কাজগুলো বাইরে ছড়িয়ে দিতে। যেন আন্তর্জাতিক দর্শকেরা কাজগুলো পছন্দ করেন। যে কারণে পরবর্তী সিনেমাগুলো দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক দর্শক ধরার চেষ্টা করেছেন। তাঁর সিনেমাগুলো সব শ্রেণির দর্শক কানেক্ট করতে পেরেছে।
নুহাশ বলেন, ‘সত্য বলতে বাংলাদেশে বা ঢাকার কথাই যদি বলি, ঢাকায় বিখ্যাত হওয়া খুবই সহজ। বাংলাদেশের যদি কেউ সেলিব্রেটি, ইনফ্লুয়েন্সার হতে চায়, এটা অনেকটাই সহজ। কারণ, আমাদের শহরটা খুবই ছোট। দেশটাও ছোট। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে সিনেমা বানিয়ে একটা জায়গায় যাওয়াটা কঠিন। সেটাই আমাকে সেই সময় আকর্ষণ করে। আমি শুধু সিনেমাগুলো আন্তর্জাতিক দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলাম।’
পরবর্তী সময়ে ‘মশারি’ ও ‘পেটকাটা ষ’ বানিয়ে আরও বেশি আন্তর্জাতিক দর্শকের কাছে আলোচিত হন নুহাশ। সেই অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে তিনি বলেন, ‘এই দুটি কাজ অনেকগুলো উৎসবে অংশ নেয়, পুরস্কৃত হয়। বিভিন্ন শ্রেণির দর্শকের কাছ থেকে প্রচুর সাড়া পেতে থাকি। যা আমার কল্পনার বাইরে ছিল। জিন, ভূত, পেতনি এগুলো আমাদের গল্প। সেটা বাইরে দর্শক গ্রহণ করাটা আমার কাছে অবাক করার মতো ছিল। একসময় আমি বুঝতে পারি আমার কাজ লোকাল, কিন্তু এটা একই সঙ্গে গ্লোবাল। এটা ক্যামেরা, সাউন্ড, নির্মাণশৈলী, উপস্থাপনাসহ নানা কারণে হয়ে উঠেছিল আন্তর্জাতিক মানের।’