প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) জায়গা ও সম্পদের বিকল্প ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক ডেকেছিল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠকটি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে গত রোববার একটি নোটিশ দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। নোটিশে বলা হয়, এফডিসির জায়গা ও সম্পদের বিকল্প ব্যবহার এবং বিএফডিসিতে কর্মরতদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনার জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছে।
নোটিশটি প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ কেউ ফেসবুকে লিখেছেন, এফডিসি কি সরিয়ে নেওয়া হবে?
এর মধ্যে জাতীয় চলচ্চিত্র আন্দোলন ফেসবুকে লিখেছে, ‘প্রকাশিত চিঠির বিষয়বস্তু নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হওয়ার পর্যাপ্ত কারণ রয়েছে বলে জাতীয় চলচ্চিত্র আন্দোলন মনে করে।’
সংগঠনটির ভাষ্য, ‘চলচ্চিত্রের এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এ রকম একটা বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ সমীচীন হয়নি বলেও জাতীয় চলচ্চিত্র আন্দোলন বিশ্বাস করে। আমরা আশা করব, ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান এফডিসির বিষয়ে এ–জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে যথেষ্ট চিন্তাভাবনার অবকাশ রয়েছে। আশা করি, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন।’
ফলে চলচ্চিত্রকর্মীরা বৈঠকটির দিকে নজর রেখেছেন, বৈঠকের কী সিদ্ধান্ত হয়, তা নিয়েও আগ্রহ দেখিয়েছেন। বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুমা তানি জানান, বৈঠকে এফডিসির জায়গা ও সম্পদের বিকল্প ব্যবহার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে অংশ নেওয়া আরেকজন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের বিষয়ে কথা হয়েছে। যাঁরা এফডিসির সোনালি সময়ে কাজ করেছেন, তাঁদের অনেকে ছুটিকালীন টাকা পাননি। এখন যদি কেউ স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে চান, তাঁরা যেন টাকাটা সহজে পান; সমস্ত পাওনা যেন বুঝে পান, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তাঁর ভাষ্য, ‘এফডিসির জায়গা ও সম্পদ যেমন ছিল, তেমনই থাকবে।’
আরও পড়ুন