Advertisement

‘সাবা’: মায়ের হুইলচেয়ারের পাশে মেয়ের লড়াই

প্রথম আলো

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন ‘সাবা’ ছবির পরিচালক মাকসুদ হোসেন ও ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীছবি : সাবিনা ইয়াসমীন
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন ‘সাবা’ ছবির পরিচালক মাকসুদ হোসেন ও ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীছবি : সাবিনা ইয়াসমীন

২৬ সেপ্টেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে মেহজাবীন অভিনীত বহুল আলোচিত সিনেমা ‘সাবা’। ছবিটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে। মুক্তির আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন ছবির পরিচালক মাকসুদ হোসেন ও ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। পরিবার নিয়ে ছবিটি দেখার পরামর্শ দিয়েছেন মেহজাবীন। জানিয়েছেন, মা–মেয়ের গল্পে মানুষের আবেগ ছুঁয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে পরিচালক মাকসুদ হোসেন বলেন, ‘এই ছবি ইমোশনালি সবাইকে একাত্ম করবে। সিনেমা হলে বসে সবাই যখন একসঙ্গে দেখবেন, তখন তাঁরা এই ইমোশনাল জার্নিতে সমৃদ্ধ হবেন। আমি চাই, দর্শকেরা হলে আসুক, ছবিটি দেখুক এবং দেখার পর অন্যদের দেখার কথা বলুক।’

মেহজাবীনও পরিচালককে সমর্থন করে বলেন, ‘এটা এমন একটা গল্প, যেটা মা–বাবা, পরিবার নিয়ে দেখা যায়। আমি সাজেস্ট করব, মা–বাবাকে সঙ্গে নিয়ে হলে গিয়ে দেখুন। অভিজ্ঞতাটা অনেক গভীর হবে।’

যদিও ‘প্রিয় মালতী’ মুক্তির দিক থেকে মেহজাবীনের প্রথম চলচ্চিত্র; অভিনয়ের দিক থেকে ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকার বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে এই ‘সাবা’র মাধ্যমেই। সিনেমাটি নির্মাণ শেষে গত বছর সেপ্টেম্বরে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়। এরপর এটি ঘুরেছে বুসান, রেড সি, গথেনবার্গ, সিডনি, রেইনডান্সসহ একাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।

পরিচালক ও অভিনেত্রী দুজনেরই প্রত্যাশা—বাংলাদেশি দর্শক যেন এ আবেগঘন মা–মেয়ের গল্প হলে গিয়ে উপভোগ করেন। তাঁরা চান, ‘সাবা’ হোক এমন একটি সিনেমা, যা দীর্ঘদিন দর্শকের মনে গেঁথে থাকবে।

মধ্যবিত্ত পরিবারের সংগ্রামী জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। কেন্দ্রীয় চরিত্র সাবার বাবা নেই, মা শিরিন সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে বিছানায়। হুইলচেয়ারে ‘বন্দী’ মায়ের একমাত্র ভরসা মেয়ে সাবা। সংসারের বোঝা ও মায়ের সেবার দায়িত্বে ব্যস্ত থেকে নিজের ক্যারিয়ার গুছিয়ে তুলতে পারেনি সে। অর্থকষ্টে জর্জরিত সাবা চেষ্টা করে যাচ্ছিল মাকে সুস্থ করে তুলতে। কিন্তু হঠাৎ শিরিনের হার্ট অ্যাটাক হলে চিকিৎসক জরুরি অপারেশনের কথা জানান। তখন দিশাহারা সাবার জীবনে নেমে আসে নতুন সংকট।

বিনোদন অঙ্গনে ১৬ বছর ধরে কাজ করছেন মেহজাবীন। লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ান হওয়ার পর তিনি নাটক, টেলিছবিতে কাজ করেন। একটা সময় তাঁকে চলচ্চিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাবও দেওয়া হয়। দুই বছর আগে শেষ পর্যন্ত সিনেমায় অভিনয় করেন মেহজাবীন। প্রথম সিনেমায় অভিনয়ের জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়ে হয়েছে অভিনেত্রীকে।

এ প্রসঙ্গে মেহজাবীন বলেন, ‘অনেক রিহার্সাল করেছি। কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। এটা একই সঙ্গে আমার পরিচালকের শাশুড়ির কথা, চিত্রনাট্যকারের মায়ের গল্প। যে কারণে অনেক গভীরভাবে চরিত্র সম্পর্ককে আলোচনা করতে পেরেছি।’

‘সাবা’ সিনেমায় প্রথমবার মেহজাবীন চৌধুরীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন মোস্তফা মন্ওয়ার।
৯০ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘সাবা’ সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্য যৌথভাবে করেছেন মাকসুদ হোসেন ও ত্রিলোরা খান। পরিচালক মাকসুদ হোসেনেরও এটি প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। প্রায় দুই দশক ধরে প্রচুর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বানিয়েছেন, বিজ্ঞাপনচিত্র পরিচালনা করেছেন মাকসুদ। এখন তিনি ব্যস্ত নিজের দ্বিতীয় সিনেমা ‘বেবিমুন’–এর কাজ নিয়ে।

Lading . . .