Advertisement

‘এরা নাটক-সিনেমা দেখে না’ বলে তোপের মুখে শিহাব শাহীন

যুগান্তর

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৫

নির্মাতা শিহাব শাহীন। ছবি: সংগৃহীত
নির্মাতা শিহাব শাহীন। ছবি: সংগৃহীত

নির্মাতা শিহাব শাহীন বরাবরই সামাজিক মাধ্যমে সরব। বিভিন্ন ইস্যুতে নিজের এই সরব অবস্থানের কারণে নেটিজেনদের প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু রোববার (১৭ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টের কারণে উলটো তোপের মুখে পড়েছেন ‘দাগি’ খ্যাত এই নির্মাতা।

গত ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শাকিব খান, জয়া আহসানসহ বিনোদন অঙ্গনের অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেন। জুলাই বিপ্লবে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতাদের অভিযোগ, এই শিল্পীরা ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন করতেই এ ধরনের পোস্ট দিয়েছেন।

পরে ছাত্র-জনতাদের একটি অংশ গতকাল শনিবার (১৬ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ আগস্টকে কেন্দ্র ফেসবুক পোস্ট দেওয়া সেসব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করার মাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া ফ্যাসিবাদের পক্ষে অবস্থান নেওয়া শিল্পীদের উত্তরায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করে জুলাই বিপ্লবীদের সংগঠন জুলাই রেভ্যুলুশনারি অ্যালায়েন্স।

ছাত্র-জনতার এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশকে একপ্রকার কটাক্ষ করে নির্মাতা শিহাব শাহীন আজ নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘যারা বয়কট করছে, জুতো মারছে এরা আসলে নাটক, সিনেমা দেখা। তাই কোনো ক্ষতি নেই।’

তবে এই পোস্ট দেওয়ার পরই সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছেন এই নির্মাতা। পোস্টের মন্তব্যের ঘরে নিয়াজ নামের একজন চলচ্চিত্রকর্মী লিখেছেন ‘এরা নাটক সিনেমা দেখে কিনা জানিনা তবে এরা ১৭ বছর তথাকথিত শিল্পীদের দালালী দেখেছে।’

আশিক আহমেদ গালিব নামের অপর এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর মন্তব্য, ‘নাটক সিনেমায় খালি ৭৫ আগস্ট দেহায় কিন্তু ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ কারা করসিল এইসব ইতিহাস চাইপা যায়।’

শামিমুল ইসলাম নামের এক নেটিজেনের মন্তব্য, ‘এইসব অমানুষদের নাটক সিনেমা না দেখলে কি হয় ? ওরা তো একটাও শিল্পী না। সব ভন্ড, মুখোশধারী শয়তান। মানুষের সুখ, দুঃখ, আনন্দ বেদনায় তাদের কিছুই আসে যায় না। এই যে এতগুলো শিশু, কিশোর, তরুণের প্রাণ ঝরে গেল, এত হাজার হাজার মানুষ সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেল, কই তাদের একটির মধ্যেও আপনি সহ ন্যূনতম অনুশোচনা তো আমরা দেখলাম না। এই ভন্ডদের একটারও দেশপ্রেম নেই। আছে শুধু বুবু প্রেম। ঘেন্না জানাই তাদের।’

মুশফিকুর রহমান নিবিড় নামের এক নেটিজেন ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘কি দরকার ছিল ওনার এই স্ট্যাটাসটা দেওয়া? কতগুলো মানুষ মারা গেছে আপনাদের একটু কষ্ট লাগে? যার গেছে সে বুঝে।’

আরও পড়ুন

Lading . . .