Advertisement

আমি একা থাকি: ববি

যুগান্তর

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সংগৃহীত ছবি
সংগৃহীত ছবি

ঢালিউড অভিনেত্রী ইয়ামিন হক ববি দীর্ঘদিন পর শুটিংয়ে ফিরেছেন। বিএফডিসির নম্বর ফ্লোরে পরিচালক বদিউল আলম খোকনের তছনছ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেন তিনি। একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে শুটিংয়ের ফাঁকে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি ব্যক্তিগত নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন ইয়ামিন হক ববি।

দীর্ঘদিন পর কাজে ফেরা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলাম। বছরে মিনিমাম দুবার যেতে হয়। আমার ফ্যামিলি সেখানে থাকে। তাই যেতে হয়। দেশে আমি একা থাকি। পরিবারের সবাই চায় আমিও তাদের সঙ্গে থাকি। কিন্তু আমি দেশকে মিস করি। এত ঝামেলা , এত কিছু , তবু মিস করি। কেন যেন দেশের প্রতি , মানুষের প্রতি টান অনুভব করি। এই যে আমাদের এফডিসি , কাজ সবকিছু হয়তো এখন একটু কম , একটা অস্থিরতা যাচ্ছে ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে। আমি পজিটিভ মানুষ , তাই দেশকে মিস করি , চলে আসি।

আপনার শেষ সিনেমাটি তেমন সাড়া পায়নি। এর পেছনে কোনো কারণ ছিল কি ?— এমন প্রশ্নের উত্তরে ইয়ামিন হক ববি বলেন, আমার মনে হয়, এটা নিয়ে অনেক কথা বলেছি। সুন্দর একটা গল্প ছিল। ছবিটার বিহাইন্ডে যারা ছিল , সবাই কষ্ট করেছি। একজন - দুজন মানুষের জন্য আসলে ছবিটা প্রপারলি দর্শকদের কাছে উপস্থাপন করা যায়নি এটা দুঃখজনক।

অভিনেত্রী আরও বলেন, ছবিটা ভালো ছিল , মেরিট ছিল। রকম হতেই পারে। আমি তো আরও কিছু কাজ করেছি, যেগুলো আসলে ওভাবে সাড়া ফেলেনি। তবে আলহামদুলিল্লাহ , আমার ম্যাক্সিমাম কাজ মানুষ পছন্দ করেছে। জন্যই আমাকে এখনো মানুষ পছন্দ করে , ভালোবাসে।

নতুন সিনেমাটি প্রসঙ্গে একটু বলুন। চরিত্রটি কেমন ? তিনি বলেন, খোকন ভাইয়ের সিনেমা মানেই আসলে বিগ অ্যারেঞ্জমেন্টের সিনেমা। এখানে আমিও ডাবল। আমার এখানে দ্বৈত চরিত্র। খুবই ইন্টারেস্টিং ওয়েতে তিনি ক্যারেক্টার দুটোকে দেখাচ্ছেন , খুব সুন্দর হলে গিয়ে দর্শক এনজয় করবে , মানে পিওর এন্টারটেইনমেন্ট যেটাকে বলে আর কি।

সিনেমার নাম তছনছ ’, অ্যাকশন আছে বলে মনে হচ্ছে। আপনাকে কি লিড রোলে দেখা যাবে ? ইয়ামিন হক ববি বলেন, এতকিছু বলা যাবে না। নিষেধ আছে ( হাসি ) বাট আমার চরিত্র দুটো একেবারে ভিন্ন রকম। একজন ইস্ট , আরেকজন ওয়েস্ট। দুজন বোন , কিন্তু দুজন দুই রকমের।

শাকিব খানের সঙ্গে কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছিলেন। আপনাদের জুটি দর্শকদের আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আপনাদের আর দেখা যায় না কেন ?— এমন প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, আমি আসলে কখনো এভাবে কাজ করতে চাইনি যে , আরেকজনের নামের সঙ্গে শুধু আমার নামটা যুক্ত থাকবে। আমার নিজস্বতা বলে কিছু থাকবে না, তা হয় না।

তিনি বলেন, ছোট্ট একটা জায়গা থাকুক , বাট আমার জায়গা থাকুক। তবে শাকিবের সঙ্গে কাজ করাটা অনেক মজার। আর্টিস্ট হিসাবে খুব ভালো সে। আমাদের কেমিস্ট্রিটা মানুষ খুব পছন্দ করেছিল। পাঁচ - ছটা ছবি আমরা করেছিলাম। নোলক আমাদের লাস্ট সিনেমা ছিল। ইনশাআল্লাহ আবারও হতে পারে। আম নট শিওর। কথা হয় মাঝেমধ্যে।

বর্তমানে অনেকেই বলছেন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ নেই। অথচ আপনি একের পর এক কাজ করেই যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে ইয়ামিন হক ববি বলেন, আসলে যেমন চলছে , এর থেকে ভালো চলা উচিত ছিল। আমি ১২ বছর ধরে কাজ করছি। সবার অভিজ্ঞতা বলতে পারব না। আমি একটা ছোট মানুষ , ইন্ডাস্ট্রির রকম সিচুয়েশন দেখে আমার ভীষণ খারাপ লাগে , যারা ২০-৩০ বছর ধরে কাজ করছেন , তাদের তো আরও বেশি খারাপ লাগার কথা।

অভিনেত্রী বলেন, আমাদের অনেক ভুল আছে। আমরা ভুল করি। আমাদের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে কাজটাকেও প্রাধান্য দেওয়া উচিত। আমি সবসময় মনে করি , কাজের বাইরে সবসময় যেটা হয় , নিজেদের নিয়ে আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। মানে ইন্ডাস্ট্রি থেকে অন্য চিন্তা বেশি হয় বা ইগো প্রবলেম চলে আসে। একদম সেলফ সেন্ট্রেড হয়ে গেলে একটু সমস্যা হয়ে যায়।

একের পর এক হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, আমি যখন ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি , তখনো অনেক বেশি হল ছিল না; ২০০ - ২৫০টার মতো হল ছিল। তার আগে আমরা শুনেছি ১৪০০ হল ছিল। আরও বেশি ছিল হয়তো। সো , কম হলের সময়ই আমার এন্ট্রি সিনেমায়। তারপরও মানুষ যেভাবে সিনেমা দেখত , বিশেষ করে ঈদের সময় , অন্য সময়ও ছিল। এখন সিনেপ্লেক্স হচ্ছে , আরও বেশি হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে মাথা না ঘামানো প্রসঙ্গে ইয়ামিন হক ববি বলেন, এই ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে ভাবার মতো সে রকম কেউ থাকে না শেষ পর্যন্ত। অথচ একটু বাজেট দিয়ে প্রপারলি ইন্ডাস্ট্রিকে দাঁড় করানো যায়। খুব যে চেষ্টা করতে হবে বা অনেক কিছু লাগবে, তা নয়। অনেক বড় বাজেট দিয়ে অনেক কিছু করা হয় , ভালো ফল পাওয়া যায় না এটাই আমার কষ্ট লাগে। আমার মনে হয় , ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির যতটা গুরুত্ব পাওয়া উচিত ততটা পায় না।

উল্লেখ্য, ইয়ামিন হক ববির তছনছ ছাড়াও সামনে আরও কয়েকটি সিনেমায় কাজের কথা চলছে। এ ছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বউ ’, ‘ বেইমান শিরোনাম সিনেমা।

আরও পড়ুন

Lading . . .