Advertisement

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি

প্রথম আলো

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

ফাওজুল কবির খানফাইল ছবি
ফাওজুল কবির খানফাইল ছবি

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রধান সমস্যা দুর্নীতি। এরপর অন্যতম সমস্যা ছিল ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার বিল বকেয়া রাখা। এ জন্য জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমরা দায়িত্ব নিয়ে বিশেষ উদ্যোগে এসব বিল শোধ করেছি। এখন ৭০ কোটি ডলার বিল বকেয়া রয়েছে, যা স্বাভাবিক।’

বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) উদ্যোগে বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে মাসিক আলোচনায় (আগস্ট) আজ বুধবার ফাওজুল কবির খান এ মন্তব্য করেন। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দেশের বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি উপস্থাপনা দেন চৌধুরী আশিক মাহমুদ। গত বছরের আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান আশিক চৌধুরী। তিনি দায়িত্বে আসার পর বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিয়ে মাসিক ওই ওয়েবিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেন। এটি ছিল চতুর্থ আয়োজন।

চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন গত বছরের আগস্ট থেকে গত জুলাই পর্যন্ত আর্থিক বিভিন্ন সূচক ও উদ্যোগের অগ্রগতি তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, এই সময়ে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১০ শতাংশ থেকে কমে সাড়ে ৮ শতাংশে নেমেছে। পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই) ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬১ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৩ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ট্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্কের বিষয়টি সফলভাবে সমাধান করা হয়েছে।

চৌধুরী আশিক মাহমুদ আরও বলেন, আর্থিক খাতে ৩২টি সংস্কার উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১৮টি শেষ হয়েছে, ৬টির কাজ চলছে। সাতটি সংস্কার উদ্যোগের সূচি নির্ধারিত আছে এবং একটি বাতিল করা হয়েছে। এক দরজায় বিনিয়োগকারীদের সব সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য আলাদা যোগাযোগ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে যোগাযোগব্যবস্থা নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমাদের দেশে নদী, রেল ও সড়কনির্ভর যোগাযোগব্যবস্থা চালু আছে। আমরা একটি সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা চালুর চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা এই খাতে কী ধরনের উদ্যোগ প্রয়োজন, তা খুঁজে বের করে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ইলেকট্রিক পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমরা এ দুই খাতের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। বিনিয়োগ করতে যে ধরনের সহায়তা প্রয়োজন, আপনারা তা দেন।’

এদিকে ওয়েবিনারে উপস্থাপনায় আশিক চৌধুরী জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত প্রথম পাঁচ মাসে বাংলাদেশ প্রায় ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে। এটি দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির জন্য একটি আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি আরও জানান, প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলোর মধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ ইতিমধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার মধ্যে রয়েছে চুক্তি স্বাক্ষর, জমি ইজারা নিশ্চিতকরণ ও বরাদ্দপত্র প্রদান।

Lading . . .