এ দেশে জ্বালানি, এভিয়েশন ও প্রতিরক্ষা খাতকে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার দেবে
প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে জ্বালানি, এভিয়েশন বা বিমান চলাচল, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত মার্কিন কমার্শিয়াল কাউন্সিলর পল ফ্রস্ট। তাঁর মতে, বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি দ্রুত বাড়ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর জন্য বড় সুযোগ তৈরি করছে।
মার্কিন কমার্শিয়াল কাউন্সিলর পল ফ্রস্টকে স্বাগত জানাতে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অ্যামচেমের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ। এতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধি ও অ্যামচেমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে সহযোগিতা করেছে কোকাকোলা বাংলাদেশ লিমিটেড, অ্যাকসিলারেট এনার্জি, এইচএসবিসি, ভিএফএস গ্লোবাল ও ভিসা।
পল ফ্রস্ট বলেন, ‘ছয় সপ্তাহ আগে আমি বাংলাদেশে নিযুক্ত হয়েছি। এখানকার উদ্দীপ্ত ও উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন মানুষদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নতুন কোম্পানির ব্যবসা শুরু করার বিষয়ে আমরা সহায়তা করব। এখানকার অনেক টেক্সটাইল ব্যবসায়ী যুক্তরাষ্ট্র থেকে সিনথেটিক ফাইবার আনতে আগ্রহী, তাঁদেরও আমরা সহায়তা করছি।’
বাংলাদেশে ব্যবসার চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে পল ফ্রস্ট জানান, এখানকার জটিল করের কাঠামো, দুর্নীতি, অতিরিক্ত লজিস্টিক ব্যয় ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথা তাঁরা শুনেছেন। তবে এসব সমস্যা সমাধানে সবাই মিলে কাজ করবেন, এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যামচেমের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, ‘নতুন কমার্শিয়াল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে দুই দেশের ব্যবসা নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আমরা আশা করছি। যুক্তরাষ্ট্র শুধু বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একক বিনিয়োগকারী নয়, প্রযুক্তি ও জ্ঞানগত অংশীদারও। অশুল্ক বাধা দূর করা ও লজিস্টিক ব্যয় কমানো গেলে আরও বেশি মার্কিন বিনিয়োগ আসবে। সেই সঙ্গে শ্রম আইনেও উন্নতি করতে হবে।’