রান্না, ঘর গোছানো, সেবাযত্নসহ নারীর বিনা মজুরির কাজের মূল্য বছরে ৫,৭০,০০০ কোটি টাকা
প্রকাশ: ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
গৃহস্থালির কাজের পাশাপাশি নানা ধরনের সেবাযত্নের কাজ করেন এ দেশের নারীরা। এ জন্য তাঁরা কোনো মজুরি পান না। কিন্তু শ্রমের আর্থিক মূল্য কত, এর চিত্র পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক হিসাবে দেখা গেছে, এ দেশের নারীরা যদি গৃহস্থালি ও সেবাযত্নের কাজের জন্য মজুরি পেতেন, তাহলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন টাকা বা ৫ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এ হিসাবটি ২০২১ সালের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে বিবিএস।
আজ বিবিএসের হাউসহোল্ড প্রডাকশন স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট (এইচপিএসএ) প্রকাশ করেছে। এতে এই চিত্র ওঠে এসেছে। এ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিবিএস মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান হয়।
বিবিএসের হিসাবে দেখা গেছে, নারীর বিনা মজুরির গৃহস্থালির কাজের আর্থিক মূল্য ৩ লাখ ৪০ হাজার ৪০ হাজার কোটি টাকা। আর সেবাযত্নের কাজের আর্থিক মূল্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। নারী-পুরুষ সবার বিনা মজুরির কাজের আর্থিক মূল্য বছরে ৬ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন টাকা বা ৬ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।
রান্না, কাপড় ধোয়া, ঘর গোছানো, শিশু ও বৃদ্ধের যত্ন নেওয়া কিংবা অসুস্থের সেবা—এমন অসংখ্য কাজের ওপরই ভর করে চলে পরিবার ও সমাজ। তবু এত দিন এই কাজগুলো দেশের অর্থনীতির খাতায় লেখা থাকেনি। বিবিএসের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে নারীর এই অদৃশ্য শ্রমের অর্থনৈতিক গুরুত্ব পাওয়ার গেল।
আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, নারীর শ্রম দীর্ঘদিন ধরে অর্থনীতির ছায়ায় ছিল। এই প্রতিবেদন সেই অমূল্য অবদানকে দৃশ্যমান করল।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মমতাজ আহমেদ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আক্তার, ইউএন উইমেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিংহ। অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিবিএসের উপপরিচালক আসমা আখতার।