Advertisement
  • হোম
  • শিক্ষা
  • প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

‘ভিকারুননিসায় হিজাব পরায় ছাত্রীদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ’ শিরোনামে গত ২৪ আগস্ট অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগো নিউজে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিযোগ ওঠা শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহার। তবে প্রতিবাদলিপিতে তিনি এমন কিছু তথ্য উল্লেখ করেছেন, যা জাগো নিউজে প্রকাশিত সংবাদের কোথাও উল্লেখ নেই।

প্রতিবাদলিপিতে ফজিলাতুন নাহার উল্লেখ করেছেন, “জাগো নিউজ অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত ‘ভিকারুননিসায় হিজাব পরায় ছাত্রীদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে আমি হিজাব পরায় ছাত্রীদের জঙ্গি বলে গালাগাল ও ক্লাস থেকে বের করে দিয়েছি, যা অসত্য ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।’’

তিনি ওইদিনের ঘটনার একটি বর্ণনাও তার পক্ষ থেকে দিয়েছেন। তাতে উল্লেখ করেছেন, ‘২৪ অগাস্ট ষষ্ঠ পিরিয়ডে ষষ্ঠ শ্রেণির গ শাখায় ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের ক্লাস ছিল। সেই ক্লাসে স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীরা আসেন ড্রেস কোড ছাড়া। স্বেচ্ছাসেবকদের আমি প্রশ্ন করি, কেন তারা শেষ পিরিয়ডে এসেছে? তারা জানায়, তারা সময় পায়নি। পরে আমি শ্রেণি পাঠদান চালাতে স্বেচ্ছাসেবকদের বলি, তাদের ঝামেলা বাইরে গিয়ে মেটাতে। তখন স্বেচ্ছাসেবকরা কয়েকজন ছাত্রীকে বাইরে নিয়ে যায়, যাদের পরে আমি ক্লাসে ঢুকিয়ে শ্রেণি পাঠদানে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করি। হিজাব নিয়ে আমি তাদের হেয়প্রতিপন্ন করেছি দাবি করে কোনো অভিভাবকের নাম উল্লেখ না করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা অসত্য ও ভিত্তিহীন।’

প্রতিবেদকের বক্তব্য
জাগো নিউজে প্রকাশিত সংবাদে ‘ছাত্রীদের জঙ্গি’ বলা বা ‘গালাগাল’ করার কোনো বক্তব্য বা তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার তার বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে যে দাবিগুলো করেছেন, তা পুরোপুরি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি জাগো নিউজের সংবাদটি ভালোভাবে না পড়েই মনগড়া অভিযোগ তুলে প্রতিবাদলিপি লিখেছেন।

দ্বিতীয়ত, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সেদিন ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়। তাদের অভিযোগ ও বক্তব্যের রেকর্ড জাগো নিউজের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এছাড়া ঘটনার পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম ‘প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে’ বলেও জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন। একই সঙ্গে গভর্নিং বডির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে ঘটনাটি তদন্ত করতে কমিটি গঠন করেছে। তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশও (শোকজ) দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফলে জাগো নিউজ সাংবাদিকতার নৈতিকতা মেনেই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

Lading . . .