Advertisement
  • হোম
  • শিক্ষা
  • সেপ্টেম্বরেও ‌‘মিড ডে মিল’ পাচ্ছে না প্রাথমিকের ৩১...

সেপ্টেম্বরেও ‌‘মিড ডে মিল’ পাচ্ছে না প্রাথমিকের ৩১ লাখ শিক্ষার্থী

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সেপ্টেম্বরেও ‌‘মিড ডে মিল’ পাচ্ছে না প্রাথমিকের ৩১ লাখ শিক্ষার্থী
সেপ্টেম্বরেও ‌‘মিড ডে মিল’ পাচ্ছে না প্রাথমিকের ৩১ লাখ শিক্ষার্থী

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর পুষ্টি নিশ্চিত ও ঝরে পড়ার হার কমাতে ‘মিড ডে মিল’ বা স্কুল ফিডিং কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী- চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই এ কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় জটিলতায় প্রকল্পের বাস্তবায়ন আরও পিছিয়ে গেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে মিড ডে মিল প্রকল্পের জন্য লাইভ টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দেরি হওয়ায় সেপ্টেম্বর মাসে প্রকল্পটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। টেন্ডার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর দ্রুত এ কর্মসূচি চালু করা হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন দুপুরের এ খাদ্যতালিকা শিক্ষার্থীদের পুষ্টি নিশ্চিত করবে এবং ক্ষুধার তাড়না থেকে মুক্তি দিয়ে শ্রেণিকক্ষে মনোযোগ বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার কমবে এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকারও বেশি। এরমধ্যে ৯৭ শতাংশ ব্যয় বরাদ্দ রাখা হয়েছে খাদ্য সরবরাহের জন্য। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকার বেশি।

আরও পড়ুন

এদিকে, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ বা মিড ডে মিল প্রকল্পের আওতায় স্কুল চলাকালীন শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে পাঁচদিন সরবরাহ করা হবে পুষ্টিকর খাবার। এরমধ্যে রয়েছে বনরুটি, সেদ্ধ ডিম, ইউএইচটি দুধ, ফরটিফাইড বিস্কুট এবং মৌসুমি ফল বা কলা।

সপ্তাহের রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের পরিবেশন করা হবে বনরুটি ও সেদ্ধ ডিম। সোমবার বনরুটি ও দুধ এবং বুধবার মিলবে ফরটিফাইড বিস্কুট ও মৌসুমি ফল বা কলা। প্রতিটি বনরুটির ওজন নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০ গ্রাম, প্রতিটি ডিম ৬০ গ্রাম, দুধ ২০০ গ্রাম, বিস্কুট ৭৫ গ্রাম ও ফল ১০০ গ্রাম।

উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নেতৃত্বে স্কুল ফিডিং মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকসহ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা।

প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রশিক্ষণও গুরুত্ব পাচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজন করা হবে ১৯২টি ব্যাচে ওরিয়েন্টেশন ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এতে অংশ নেবেন ১৯ হাজার ৭১৯ শিক্ষক ও কর্মকর্তা।

প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ও যুগ্মসচিব হারুন অর রশীদ বলেন, প্রকল্পটির অনেক কাজ বাকি ছিল। আমি দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক মাসেই অনেক কাজ এগিয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগির চালু হবে।

Lading . . .