Advertisement
  • হোম
  • শিক্ষা
  • অস্তিত্বহীন স্কুলের নামে নিবন্ধন করে ইংরেজি মাধ্যম...

অস্তিত্বহীন স্কুলের নামে নিবন্ধন করে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

অস্তিত্বহীন স্কুলের নামে নিবন্ধন করে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা
অস্তিত্বহীন স্কুলের নামে নিবন্ধন করে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা

অস্তিত্বহীন স্কুলের নামে ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশ কাউন্সিলের মাধ্যমে এডেক্সেল ও সিএআইই পরীক্ষার নিবন্ধন করে থাকে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. রফিকুল আবরারকে এ তথ্য জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল অ্যাসিস্ট্যান্স ফাউন্ডেশনের (বিইএমএসএএফ) একটি প্রতিনিধিদল। এসময় তারা এসব কথা জানান।

তারা উপদেষ্টাকে জানান, শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগতভাবেও এডেক্সেল ও সিএআইই (ক্যামব্রিজ অ্যাসেসমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন) পরীক্ষার নিবন্ধনের সুযোগ পায়। তবে স্কুলভিত্তিক সনদ না থাকায় উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে পরে জটিলতা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থী এমন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করেন, যার কোনো অস্তিত্ব নেই। এতে ভবিষ্যতে বিদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে দেশের শিক্ষার্থীদের জটিলতায় পড়তে হতে পারে।

বৈঠকে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদল দেশের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোর বিদ্যমান সমস্যা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরে জানান, অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনাক্তকরণ নম্বর) ব্যবহার করে এডেক্সেল ও সিএআইই’র নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) অনুমোদনও প্রয়োজন। পাশাপাশি নবম শ্রেণি থেকে প্রাক-নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করার প্রস্তাবও করেন তারা।

প্রতিনিধিরা আরও বলেন, স্কুল চলাকালীন কোচিং সেন্টারের কার্যক্রম চালু থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, শৃঙ্খলাবোধ ও ভবিষ্যৎ লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। তাই এ সময়ে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার দাবি জানান তারা।

এছাড়া এডেক্সেল ও সিএআইই পরীক্ষার নিবন্ধন ফি খুব বেশি হওয়ায় তা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রতিনিধিরা। তারা নিবন্ধন ফি সহনীয় পর্যায়ে আনার উদ্যোগ নিতে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে অনুরোধ জানান।

প্রতিনিধিদল দেশের জাতীয় শিক্ষাক্রমের আওতাভুক্ত স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইংরেজি ভাষার ক্লাব গঠনে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এটি শিক্ষার্থীদের ইংরেজি দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক হবে এবং ভবিষ্যৎ দক্ষ মানবসম্পদ গঠনে অবদান রাখবে বলেও অভিমত জানান।

প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সব দাবি-দাওয়া শোনেন শিক্ষা উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষাগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের নিবন্ধন, সনদ ও উচ্চশিক্ষায় অগ্রগতির বিষয়গুলোকে সুশৃঙ্খল ও স্বচ্ছভাবে নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্য অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জাতীয় শিক্ষাক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Lading . . .