Advertisement

একাদশে ভর্তিতে প্রথম ধাপে আবেদনের সময় বাড়লো

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ১১ আগস্ট, ২০২৫

একাদশে ভর্তিতে প্রথম ধাপে আবেদনের সময় বাড়লো
একাদশে ভর্তিতে প্রথম ধাপে আবেদনের সময় বাড়লো

চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে কলেজ ভর্তিতে অনলাইন আবেদন চলছে। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী- প্রথম ধাপে শিক্ষার্থীদের আবেদনের সময়সীমা ছিল সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে সেই সময়সীমা চারদিন বাড়ানো হয়েছে।

ভর্তি কমিটির নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- একাদশে ভর্তিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা আগামী ১৫ আগস্ট রাত ৮টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

রোববার (১০ আগস্ট) রাতে একাদশে ভর্তির কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তিতে প্রথম পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আবেদনের মেয়াদ আগামী ১৫ আগস্ট শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

অনলাইনে আবেদন যেভাবে

ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, চলতি বছর অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদনের কার্যক্রম চলবে। অনলাইন ছাড়া শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করতে পারবেন না। এবার আবেদন ফি ২২০ টাকা।

আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রম দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন, সেগুলোর মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটিমাত্র কলেজে ভর্তির অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

নির্বাচিত শিক্ষার্থীকে ৩৩৫ টাকা দিয়ে প্রাথমিকভাবে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রাথমিক ভর্তি নিশ্চিত করার পর তিনি আরও দুই ধাপে মাইগ্রেশন করতে পারবেন। শিক্ষার্থীর পছন্দের কলেজ সিট ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে অটো মাইগ্রেশন করা হবে।

ভর্তি আবেদনের যোগ্যতা

দেশের যে কোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে তার সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।

শিক্ষার্থী নির্বাচন পদ্ধতি

ভর্তির জন্য কোনো বাছাই বা ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে না। কেবল শিক্ষার্থীর এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ২ শতাংশ কোটা ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে। অন্যদিকে মোট আসনের ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

তিন ধাপে নির্বাচিতদের চূড়ান্ত ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে ৭ সেপ্টেম্বর, যা চলবে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ১৫ থেকে সেপ্টেম্বর একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।

Lading . . .