Advertisement
  • হোম
  • শিক্ষা
  • জামায়াতের বিক্ষোভের দিনে ৮ বিভাগে বিসিএস পরীক্ষা, ...

জামায়াতের বিক্ষোভের দিনে ৮ বিভাগে বিসিএস পরীক্ষা, ভোগান্তির শঙ্কা

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জামায়াতের বিক্ষোভের দিনে ৮ বিভাগে বিসিএস পরীক্ষা, ভোগান্তির শঙ্কা
জামায়াতের বিক্ষোভের দিনে ৮ বিভাগে বিসিএস পরীক্ষা, ভোগান্তির শঙ্কা

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দাবিতে ‌‘যুগপৎ আন্দোলনে’ নামছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি দল। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী- দলগুলো আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল করবে।

একই দিনে ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা নেওয়া হবে। এতে অংশ নেবেন ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৭৪৭ জন চাকরিপ্রার্থী।

বিসিএস পরীক্ষার্থীরা বলছেন, সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হলেও পরীক্ষার হলে প্রবেশের সবশেষ সময় সকাল সাড়ে ৯টা। এজন্য পরীক্ষার্থীরা অনেকে ৮টার মধ্যে কেন্দ্রে চলে যাবেন।

আবার এ পরীক্ষা ১২টায় শেষ হলেও বের হতে প্রায় ১টা বেজে যাবে। পরীক্ষা শেষে বেরিয়ে শহর ছাড়তে দুপুর ২টা থেকে আড়াইটা বেজে যাবে। এর মধ্যে বিক্ষোভ বা সমাবেশ করলে পরীক্ষার্থীরা; বিশেষ করে নারী পরীক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা তাদের।

বিসিএস পরীক্ষার দিনে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা ‘যুক্তিযুক্ত’ নয় বলে মনে করেন ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি এ নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন।

পোস্টে মুসাদ্দিক আলী লিখেছেন, জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো জুলাই সনদের ভিত্তিতে উভয়কক্ষে পিআরের দাবিতে চলতি ১৮ ও ১৯ তারিখ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। অথচ এই দুইদিন পুরো দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪৭তম বিসিএস নিয়ে তোড়জোড়, দৌড়াদৌড়ি থাকবে। এ সময়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি শিক্ষার্থীদেরকে হুমকির মধ্যে ফেলবে।

তিনি আরও লেখেন, ‘পিআর দাবির পক্ষে বিপক্ষে মতামত থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু এমন সময় আন্দোলনের দিনক্ষণ ঠিক করা যুক্তিযুক্ত নয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে তাদের কর্মসূচি পুনর্বিবেচনা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

জানতে চাইলে জামায়াতের মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এবং দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবগত। পরীক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরনের ভোগান্তিতে না পড়েন, সেদিকে আমরা খেয়াল রাখবো। প্রয়োজনে কর্মসূচি বিসিএস পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর করা হতে পারে। এ নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

সরকারি কর্ম কমিশন পিএসসি সূত্র জানায়, ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গত ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এরপর সেটি পিছিয়ে ৮ আগস্ট করা হয়। এরপর আরও এক দফা পিছিয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে পিএসসি।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—৪৭তম বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডার পদে ৩ হাজার ৪৮৭ জন এবং নন-ক্যাডার পদে ২০১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

Lading . . .