প্রাথমিক শিক্ষকরা গ্রামে থাকতে চান না, শহরে বদলি হতে চান
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে বা গ্রামে থাকতে চান না। তারা শহরে বদলির জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে তদবির করেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন পোদ্দার।
তিনি বলেন, শুধু হাওরাঞ্চলে নয়, দেশের বিভিন্ন চরাঞ্চল, প্রত্যন্ত এলাকা; এমনকি গ্রাম হলেই সেখানে শিক্ষকরা আর থাকতে চান না। তারা শহরে বদলি নিতে চান। নানা মাধ্যমে তদবির করেন। এতে বদলি-তদবিরের চাপ বাড়ে। এটা আমাদের ব্যাপক সমস্যার মুখে ফেলে। এটা আসলে আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে বড় হয়ে ওঠে, তবে সে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। নৈতিকতা শিক্ষার একটি ভালো উপায় হচ্ছে বিভিন্ন গল্প-কাহিনী ও সাহিত্য। পাশাপাশি নৈতিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত করে গড়ে তোলা। এছাড়াও শিশুদের মাঝে একাত্মবোধ, মমত্ববোধ ও শৃঙ্খলাবোধ জাগ্রত করে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের পরিবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ শিশুরা শিক্ষকদেরকে আদর্শ হিসেবে দেখে বেড়ে ওঠে। তাই প্রতিটি শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের কাছে নিজেকে আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে।
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও শিক্ষকদের পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরাও আমাদের শিক্ষা পরিবারেরই সদস্য। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে জানতে আমরা অনেক সময়ই সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করি। তাদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মাধ্যমে আমরা সেগুলোর সমাধানে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি। তাই সাংবাদিকরা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান, পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান প্রমুখ।