Advertisement
  • হোম
  • শিক্ষা
  • পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর দমন-পীড়নে উদ্...

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর দমন-পীড়নে উদ্বেগ

জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর

প্রকাশ: ৯ আগস্ট, ২০২৫

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর দমন-পীড়নে উদ্বেগ
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর দমন-পীড়নে উদ্বেগ

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ওপর ‌‘দমন-পীড়ন’ চালানো হচ্ছে বলে দাবি করে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২ জন শিক্ষক। মহান মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দেওয়া বুদ্ধিজীবীদের উত্তরসূরিরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কের মধ্যে জীবনযাপন করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তারা।

বিবৃতিদাতা এসব শিক্ষকের অধিকাংশই আওয়ামী লীগপন্থি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সাময়িক বহিষ্কার, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতিও পেয়েছেন।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে তারা অবিলম্বে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতারকৃত শিক্ষকদের মুক্তি এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও বাতিলের দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা, বেআইনি গ্রেফতার, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, অ্যাকাডেমিক নির্যাতন ও নানাবিধ হয়রানির ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে। মব সংস্কৃতি, ট্যাগিং ও সামাজিক অপপ্রচারের মাধ্যমে শিক্ষকদের ওপর করা হচ্ছে মানসিক নির্যাতন। মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা, গবেষণাকর্ম ও প্রকাশনার পরিধির মাধ্যমে মূল্যায়নের পরিবর্তে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে বিচ্ছিন্নকরণ ও বিভক্তিকরণের প্রক্রিয়া।

‘একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব মতামত প্রকাশের কারণেও শিক্ষকরা বহিষ্কৃত, লাঞ্ছিত ও অপমানিত হচ্ছেন। অন্যায়ভাবে একতরফা তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অ্যাকাডেমিক ও গবেষণা কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখা হচ্ছে এবং অব্যাহতি প্রদান ও চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দেওয়া বুদ্ধিজীবীদের উত্তরসূরিরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ও আতঙ্কের মধ্যে জীবনযাপন করছে। এ ধরনের দমনমূলক পদক্ষেপ স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ, শিক্ষাব্যবস্থার স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী। শিক্ষকসমাজ জাতির চিন্তা ও মানবিক মূল্যবোধের নির্মাতা; তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশকে কলুষিত করছে এবং শিক্ষার মান ও অসাম্প্রদায়িক স্বাধীনতাকে বিপন্ন করছে, যা বিশ্ব সভ্যতার কাছেও উদ্বেগের বিষয়।

‘আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে শিক্ষকদের নিরাপত্তা, স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিতসহ একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা ও হয়রানি বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। উদ্বেগজনক এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের সমস্ত শিক্ষক সমাজের সহযোগিতা কামনা করছি।’

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ, অধ্যাপক ড. শবনম জাহান, অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, অধ্যাপক ড. আ. ক. ম. জামাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. মুজিব উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মুজিব উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মো: কামরুজ্জামান সরকার, অধ্যাপক ড. মুসতাক আহমেদ, অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা, অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন ইলিয়াস, অধ্যাপক ড. আজমল হুদা, অধ্যাপক ড. হাসান মুহাম্মদ, অধ্যাপক আলাউদ্দিন খোকন প্রমুখ।

Lading . . .