Advertisement
  • হোম
  • বিনোদন
  • পণের দাবিতে শ্বশুরের নির্যাতন, জনপ্রিয় চলচ্চিত্র প...

পণের দাবিতে শ্বশুরের নির্যাতন, জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালকের বিরুদ্ধে থানায় পুত্রবধূ

এই সময়

প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে থানায় গেলেন পরিচালক এস নারায়ণের পুত্রবধূ।
শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে থানায় গেলেন পরিচালক এস নারায়ণের পুত্রবধূ।

দক্ষিণ ভারতের চলচ্চিত্র জগতে পরিচিত নাম এস নারায়ণ। কিন্তু এ বার তিনি আলোচনায় এসেছেন একেবারে ভিন্ন কারণে— পণের জন্য পুত্রবধূ নির্যাতনের অভিযোগে। তাঁর পুত্রবধূ পবিত্রা বেঙ্গালুরুর জ্ঞানভারতী থানায় নারায়ণ, তাঁর স্ত্রী ভাগ্যবতী এবং তাঁদের ছেলে পবনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ তিন জনকেই তদন্তের স্বার্থে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

পবিত্রার অভিযোগে উঠে এসেছে এক দীর্ঘস্থায়ী মানসিক ও আর্থিক নিপীড়নের চিত্র। তিনি জানান, বিয়ের পর থেকেই তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে বারবার পণের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাঁর দাবি, ‘পবন এখনও স্নাতক শেষ করেনি, চাকরি নেই। সংসার চালাতে আমাকে কাজ শুরু করতে হয়।’

Kannada filmmaker S Narayan's daughter-in-law Pavithra files dowry harassment case

বিয়ের কয়েক মাস পর তাঁরা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন, কিন্তু এক বছর পর আবার ফিরে আসেন। এই সময়েই পণের টাকার জন্য আরও চাপ দেওয়া শুরু হয়। পবিত্রার দাবি, ‘ও আমার কাছ থেকে ১ লাখ এবং আমার মায়ের কাছ থেকে ৭৫,০০০ নিয়ে একটি গাড়ি কেনে।’ এর পর ‘কালা সম্রাট ফিল্ম অ্যাকাডেমি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।

পবিত্রা যোগ করেন, ‘আমি আমার মায়ের সোনার গয়না বন্ধক রেখে ওদের সাহায্য করি। কিন্তু অ্যাকাডেমিটি বন্ধ হয়ে যায়। আবারও ওরা আমার কাছে টাকা চায়। আমি ১০ লাখের একটি প্রফেশনাল লোন নিই। ওরা প্রথমে কিছু কিস্তি দিলেও, পরে বন্ধ করে দেয়।’

Kannada filmmaker S Narayan's daughter-in-law Pavithra files dowry harassment case

পবিত্রা আরও জানান, বিয়ের সময় তাঁর বাবা পবনকে ১ লাখের বেশি মূল্যের সোনার আংটি উপহার দেন। কিন্তু বিয়ের পর ঝগড়ার সময় সেই উপহারই হয়ে ওঠে অপমানের অস্ত্র। তিনি জানিয়েছেন, ‘নারায়ণ ও ভাগ্যবতী আমাকে দোষারোপ করেন, অপমান করেন।’

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে পবিত্রা ও পবনের বিয়ে হয়। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই সম্পর্কের ভিত নড়ে যায়। কেরল কৌমুদিকে পবিত্রা বলেন, ‘আমার সঙ্গে কিছু ঘটে গেলে নারায়ণ, ভাগ্যবতী ও পবন— এই তিনজনকে দায়ী করা উচিত।’ পুলিশ বুধবার সন্ধ্যায় মামলাটি রুজু করে।

আরও পড়ুন

Lading . . .