Advertisement
  • হোম
  • বিনোদন
  • ‘এক বছর কাজ নেই, ক্যান্সারের পর, আমাকে কাস্ট করতে ...

‘এক বছর কাজ নেই, ক্যান্সারের পর, আমাকে কাস্ট করতে অনেকেই দ্বিধাগ্রস্ত’, অকপট হিনা খান

এই সময়

প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫

হিনা খান।
হিনা খান।

ভারতীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ হিনা খান এক বছর আগে সাহসিকতার সঙ্গে স্তন ক্যান্সারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই কঠিন সময় পেরিয়ে আজ তিনি আবারও পর্দায় ফিরেছেন। কিন্তু হিনার দাবি, ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই এখনও তাঁর সঙ্গে কাজ করতে দ্বিধা বোধ করছেন। হিনা বলেন, ‘কেউ সরাসরি বলেনি যে, আমি পুরোপুরি সুস্থ নই, তবু আমি বুঝতে পারি— মানুষ দ্বিধায় আছে। এবং সেটা আমি যুক্তিসঙ্গত বলেই মানি।’

অসুস্থতার সময় অনেক কাজের প্রস্তাব হাতছাড়া হয়েছে, কিছুটা থমকেই গিয়েছিল তাঁর কর্মজীবন। তবে এখন তিনি কালার্স চ্যানেলের রিয়েলিটি শো ‘পতি পত্নী অউর পাঙ্গা’র হাত ধরে ছোট পর্দায় ফিরেছেন। এই শো-টিকে তিনি ‘ক্যান্সার-যুদ্ধ’ জয়ের পর প্রথম প্রজেক্ট বলে উল্লেখ করেছেন।

Hina Khan On Post-Cancer Career

পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিনা বলেছেন, ‘এই শো-এর প্রস্তাব গ্রহণ করাটা আমার জন্য বড় পদক্ষেপ ছিল। নিজের শারীরিক পরিস্থিতির এটি একটা পরীক্ষা ছিল— আমি আদৌ পারব কি না। এখনও পর্যন্ত সব ঠিকই চলছে। একটু ক্লান্তি আসে, কিন্তু আমি প্রস্তুত। ডিজ়িট্যাল হোক বা অন্য কিছু, আমি কাজ করতে চাই। শুধু দীর্ঘমেয়াদি কমিটমেন্টে আপাতত যেতে চাই না।’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘গত এক বছর কেউ আমাকে ডাকেনি— যে কোনও কারণেই হোক। কিন্তু আমি থেমে যাইনি। আমি অডিশনের জন্য প্রস্তুত। প্লিজ, আমাকে ডাকুন।’

‘ইয়ে রিশতা কেয়া কেহলাতা হ্যায়’, ‘খতরোঁ কে খিলাড়ি ৮’ এবং ‘বিগ বস ১১’র মতো জনপ্রিয় শো-তে হিনা নজর কাড়েন। ৩৭ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর বর্তমানে ‘পতি পত্নী অউর পাঙ্গা’ নামে যে রিয়েলিটি শো-তে অংশ নিয়েছেন, তাতে তাঁর পার্টনার রকি জয়সওয়ালও রয়েছেন।

Hina Khan On Post-Cancer Career

এছাড়াও দেবিনা-গুরমিত, রুবিনা-অভিনব, অবিকা-মিলিন্দ, স্বরা-ফাহাদ, গীতা-পবন এবং সুদেশ-মমতা জুটিও অংশ নিয়েছেন এই শো-তে। এখানে সেলিব্রিটি দম্পতিরা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন, মজার সব চ্যালেঞ্জে অংশ নিচ্ছেন।

এদিকে ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে হিনা বলেন, ‘আমি স্পাই ইউনিভার্সের অংশ হতে চাই— ওটিটি হোক বা সিনেমা। স্পেশ্যাল অপস দেখার সময়ই মনে হল, আমি স্পাই চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। আমি সেটা মনের মধ্যে গেঁথে ফেলেছি।’

Lading . . .