সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে হলেন আবাসন খাতের সফল ব্যবসায়ী
প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
প্রথাগত ব্যবসায়ীর মোড়কে তাঁকে আবদ্ধ করা যায় না। ছেলেবেলা কেটেছে রেলওয়ের কলোনিতে। সেখানকার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছেন। মঞ্চনাটক করতেন। ভালো আঁকিয়ে ছিলেন। কয়েক দিন সিনেমার বড় ক্যানভাসের পোস্টারও এঁকেছেন। কলেজে পড়ার সময় কবিতার নেশায় পড়েন। স্বাধীনতাযুদ্ধেও অংশ নিয়েছেন। দেশ স্বাধীনের পর সরকারি চাকরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে নামেন ব্যবসায়। একপর্যায়ে রেজাউল করিমের সঙ্গে আবাসন ব্যবসা শুরু করেন, গড়ে তোলেন ট্রপিক্যাল হোমস।
এতক্ষণ যাঁর কথা বললাম, তিনি শেখ রবিউল হক, ট্রপিক্যাল হোমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। তাঁর বয়স এখন ৭৯ বছর। ব্যবসায়িক কাজের মধ্যেও সাহিত্যচর্চা অব্যাহত রেখেছেন। নিয়মিত কবিতা লেখেন। কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, গল্প ও ভ্রমণবিষয়ক বেশ কয়েকটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। ছবি আঁকতে ভালোবাসেন। গানও করেন। শখ করে মাথায় পরেন লম্বা টুপি। দেশ-বিদেশ ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন। সুযোগ পেলেই ছুট দেন পরিবার-পরিজন নিয়ে।
তিন দশকের যাত্রায় দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় আবাসনপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ট্রপিক্যাল হোমস। ঢাকার বিজয়নগরে একটি বাণিজ্যিক প্রকল্প দিয়ে তাদের হাতেখড়ি। পরবর্তী সময়ে বাণিজ্যিক প্রকল্প বেশি করলেও আবাসিক প্রকল্পও চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। তারা এখন পর্যন্ত আড়াই হাজার অ্যাপার্টমেন্ট হস্তান্তর করেছে। মালিবাগে দেশের প্রথম ৪৫ তলা (মাটির নিচে থাকবে আরও ছয়টি তলা) ভবন নির্মাণের কাজও শুরু করেছে ট্রপিক্যাল হোমস।
রাজধানীর বাংলামোটরে ট্রপিক্যাল হোমসের কার্যালয়ে গত ১১ মে দীর্ঘ আলাপচারিতায় নিজের ছেলেবেলা, বড়বেলা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন শেখ রবিউল হক। তিনি বলেন, ‘নীতিনৈতিকতা মেনে ব্যবসা করার কারণেই ট্রপিক্যাল হোমস মানুষের আস্থার জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছে। দীর্ঘ ব্যবসায়িক জীবনে অনেক অনৈতিক ব্যবসার প্রস্তাব এসেছে। আমরা সেসব গ্রহণ করিনি। আমাদের অবস্থান ছিল, লাভ হলে খাব, না হলে খাব না।’
শেখ রবিউল হক বললেন, ব্যবসা একটা ইবাদত। এই জিনিসটা বহু ব্যবসায়ী বোঝেন না। তাঁরা মনে করেন, ব্যবসা মানেই শুধু টাকা কামানো। এখানেই মিসটেকটা করেন। আবারও বলি, ব্যবসা একটা ইবাদত। সেখানে ভুল করলে ভুগতে হবে। বছরের পর বছর ধরে আমরা সেই ইবাদতটা করছি। ইবাদত করতে করতে আমার ব্যবসায়িক অংশীদার (রেজাউল করিম) মারা গেছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৪৬ সালে রবিউল হকের জন্ম কলকাতায়। তাঁর বাবা জুলমত আলী শেখ রেলওয়েতে চাকরি করতেন। তখন তাঁর কর্মস্থল কলকাতায়।
১৯৪৭ সালে ভারতজুড়ে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটে। জন্ম নেয় দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র—ভারত ও পাকিস্তান। দেশ বিভাগের সেই অগ্নিগর্ভ সময়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বা দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। মারা যায় ১০ লাখের বেশি মানুষ। কয়েক কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। সেই সময় এক বছরের রবি (রবিউল হকের ডাকনাম) ও তাঁর বড় বোনকে নিয়ে কলকাতা থেকে এক দুঃসাহসিক ট্রাকযাত্রায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আসেন তাঁদের মা প্রয়াত রাবেয়া খাতুন।
মায়ের কাছে শোনা সেই সময়ের কথা শেখ রবিউল হক বললেন এভাবে, ‘আমার মা খুব শক্তিশালী মহিলা ছিলেন। যখন দাঙ্গা শুরু হলো, তখন আমার বোন আর আমাকে নিয়ে আলীপুর পানির ট্যাংকের নিচের বাংকারে আশ্রয় নিলেন। আমাদের সঙ্গে যারা আশ্রয় নিয়েছিল, তাদের অনেকের শরীর তখন রক্তমাখা। আমার মা কীভাবে কীভাবে যেন একটা ট্রাক ম্যানেজ করলেন। সেই ট্রাক কুষ্টিয়াতে যাচ্ছে। বাবা তখন রেলওয়ের ডিউটিতে। তাঁর ছুটি নেই। মা আমাদের দুই ভাই–বোনকে নিয়ে ওই ট্রাকে চড়ে বসলেন। সেই ট্রাকে লাশও ওঠানো হয়েছিল। দু-তিন দিনে থেমে থেমে সেই ট্রাক আমাদের পৈতৃক বাড়ি কুমারখালী নিয়ে পৌঁছায়। ততক্ষণে আমার ছোট্ট শরীরও অন্য মানুষের রক্তে মাখামাখি।’
কুষ্টিয়ায় বড় হতে লাগলেন রবিউল হক। কয়েক বছর পর তাঁর বাবা সান্তাহারে বদলি হয়ে আসেন। মাঝখানে দুই বছর ছিলেন ঈশ্বরদী। তারপর আবার সান্তাহার। সেখানকার বিপি হাইস্কুল থেকে ১৯৬৩ সালে মাধ্যমিক পাস করেন রবিউল। কুষ্টিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তারপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক। পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেছেন।
বাবার রেলওয়ের চাকরির সুবাদে রেলওয়ে কলোনিতে বড় হয়েছেন রবিউল হক। বললেন, ‘বড় রেলওয়ে কলোনিতে একটি করে রেলওয়ে ইনস্টিটিউট ছিল। সেখানে বিশাল হল ছিল। সেই হলে আমরা বছরে দু-তিনটি নাটক করতাম কলোনির ছেলেমেয়েরা। লাইব্রেরিতে ছিল হাজার পাঁচেক বই। সেখান থেকেই আমার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে। আমরা ওয়াল ম্যাগাজিন করতাম। ম্যাগাজিনের জন্যই পেইন্টিং শিখেছিলাম। আবার স্কুলজীবনে আমরা লন টেনিসও খেলেছি। সবই রেলওয়ের ওই ইনস্টিটিউটকে কেন্দ্র করে হলেও এখন সেসব নেই।
একাত্তরের আগের বছর কোটায় সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিলেন রবিউল হক। যুদ্ধ শুরু হলে সেই প্রক্রিয়া আটকে যায়। যুদ্ধে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে জুনে কলকাতায় যান। হঠাৎ তাঁর ম্যালেরিয়া জ্বর হয়। তখন আর অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা হয়নি। তবে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রশাসনে কাজকর্ম করেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার বেশ কয়েক মাস পর রবিউল হক সরকারি চাকরি পেলেন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কার্যালয়ে হাইড্রোগ্রাফার পদে যোগ দিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে নাফ নদী ও সমুদ্রের সীমানা নির্ধারণের কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন।
চাকরিতে যোগ দেওয়ার কিছুদিন পর বিয়ে করেন রবিউল হক। স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, তখন ঢাকার মিরপুরে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। সান্তাহার রেলওয়ে কলোনিতে দুজনের পরিচয়। তারপর মন দেওয়া-নেওয়া।
বিয়ে নিয়ে রবিউল হক বললেন, ‘আমার অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। পকেটে ২০০ টাকাও নেই। বেতন যা পেতাম, ১০ দিনও চলত না। মগবাজারে মেসে থাকি। একদিন বিকেলে আমার পরিবারের নির্দেশে ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু এসে বলল, “আজকে তোমার বিয়ে।” বললাম, আমার পকেটে তো টাকাপয়সা নেই। সে বলল, “আমরা সব ব্যবস্থা করতেছি।” ততক্ষণে অন্য বন্ধুরা চলে এল। একটা শেরওয়ানি ভাড়া করে আনল ওরা। তারাই ৮-১০টি মোটরসাইকেল আর একটা গাড়ি জোগাড় করল। তারপর মোটামুটি চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে আমাকে বিয়ে দিল। এমন গরিবানা বিয়ে আমি জীবনে দেখিনি।’
কয়েক বছর পর হঠাৎ একদিন সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর ছোট ভাই কায়সার রশীদ চৌধুরীর সঙ্গে রবিউল হকের কথা হয়। একদিন ডাকলে ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কে কায়সার রশীদের কার্যালয়ে গেলেন তিনি। কায়সার রশীদ জানতে চাইলেন, ‘কী করো? বেতন কত?’
রবিউল হক বলেন, ‘সরকারি চাকরি করি। বেতন ১২০০-১৩০০ টাকা।’
—এই টাকায় চলতে কষ্ট হয় না?
—বেতন যা পাই, তা দিয়ে ১০-১২ দিন চলে।
—তারপর?
—তারপর ধারকর্জ করে চলতে হয়।
—কালকেই রিজাইন করো। তারপর আমার এখানে আসো। চলো ব্যবসা শুরু করি।
—আমরা কী খাব?
—দেখো, আমার ছয়টা চা–বাগান আছে। আমার যদি দুই বেলা খাবার জোটে, তাহলে তোমারও জুটবে।
এ কথা রবিউল হকের বেশ মনে ধরল। মনে মনে ভাবলেন, দুই বেলা খাওয়া ছাড়া আর কী লাগে। এখন তো দুই বেলা খাওয়াও জুটছে না।
কায়সার রশীদ চৌধুরী বললেন, ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) চালু হচ্ছে। সেখানে আমরা পরামর্শক হিসেবে কাজ করার জন্য দরপত্র জমা দেব। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কথাও বলেছি।’
পরদিন মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন রবিউল হক। তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বললেন, ‘তোমার মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। পাগল হয়ে গেছ। তোমাকে এই বুদ্ধি কে দিয়েছে?’ রবিউল হক বললেন, ‘স্যার, বুদ্ধি যে–ই দিক, আমি এখানে কাজ করব না। আমি খেটে খাব। এখানে যে বেতন পাই, তাতে আমার মাস চলে না। এমনও দিন যায়, বাচ্চার দুধ কিনতে পারি না। দুধ কিনতে বউয়ের চুড়ি বিক্রি করতে হয়েছে।’
১৯৭৬ সালের শেষ দিকে সরকারি চাকরি ছেড়ে কায়সার রশীদ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানে যোগ দিলেন রবিউল হক। বেতন সাড়ে তিন হাজার টাকা। তাঁকে দরপত্রে অংশ নেওয়ার কাগজপত্র ধরিয়ে দিয়ে কায়সার রশীদ বললেন, ‘আমি লন্ডন যাচ্ছি।’ রবিউল হকের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ল, কীভাবে দরপত্র প্রস্তুত করতে হয়, জানেন না। বিভিন্ন লোকের কাছে ঘুরেফিরে শিখলেন। দরপত্র জমা দেওয়া হলো। মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ—এই তিন এলাকার পল্লী বিদ্যুতের পরামর্শকের কাজ পেলেন। তারপর কয়েক বছর ওই অঞ্চলেই কাজ করলেন রবিউল হক।
১৯৮১ সালে ইরাক সরকারের একটি সেচ প্রকল্পে চার বছরের চাকরি পেলেন রবিউল হক। পরিবার নিয়ে ইরাকে চলে গেলেন। প্রকল্প শেষ হলে দেশে ফিরলেন। তখন এ টি এম রফিক নামের এক বন্ধু ট্রেডিং ব্যবসা করার জন্য তাঁকে প্রস্তাব দেন। এতে রাজি হয়ে গেলেন রবিউল হক। শুরু হলো ব্যবসায়িক জীবন।
ফার্মগেটে রবিউল হকের পাশেই ছিল নির্মাণ ব্যবসায়ী রেজাউল করিমের কার্যালয়। সেখানে উভয়ের মধ্যে পরিচয়। একদিন রেজাউল করিম অংশীদারত্বে আবাসন ব্যবসার প্রস্তাব দেন। রাজি হয়ে যান রবিউল হক। ট্রেডিং ব্যবসা ছেড়ে আবাসন ব্যবসায় নামলেন তাঁরা। এভাবেই নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে যাত্রা শুরু করে ট্রপিক্যাল হোমস। আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয় কিছুদিন পর, ১৯৯৬ সালে।
রবিউল হক বলেন, ‘বিজয়নগরে আমরা একটা জমি পেলাম। সেখানে ১২ তলা বাণিজ্যিক ভবন করার পরিকল্পনা নিলাম। তখন টাকাপয়সার সংকট। মিজান নামের একজন ব্যবসায়ীর কাছে গেলাম। তাঁকে বললাম, আপনি তো অফিস নিতে চেয়েছিলেন। আমাদের একটা ভবন হচ্ছে। নেবেন নাকি। সব শুনে উনি অফিস ও গোডাউনের জন্য ২০ লাখ টাকা অগ্রিম দিলেন। তখনকার সময়ে অনেক টাকা। আমাদের অর্থসংকট কেটে গেল।’ তিনি আরও বলেন, ‘ধীরে ধীরে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম হলো। আমাদের জমি খুঁজতে হলো না। জমির মালিকেরাই আমাদের খুঁজে নিলেন। এভাবেই দাঁড়িয়ে গেল ট্রপিক্যাল হোমস।’
দেশের আবাসন খাতে আরও দক্ষ ও সৎ ব্যবসায়ী দরকার বলে মনে করেন রবিউল হক। তিনি বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তান থেকে নগরায়ণ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ভবনের গড় উচ্চতা ৭-৯ তলা। অথচ আমাদের ভবনের গড় হওয়া উচিত ছিল ৫০ তলা। ২০০ তলা ভবনও হওয়া দরকার ছিল। নানা অজুহাতে করতে দেওয়া হচ্ছে না। মানুষ যত বেশি ওপরে যাবে, তত অক্সিজেন বেশি পাবে। পরিবেশদূষণ কম হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা লাগবে। দেখা যাচ্ছে, সরকার নিজেই ব্যবসায় নেমেছে। এটি বিপজ্জনক; আবাসন খাতের ক্ষতি করছে।’
শেখ রবিউল হকের তিন সন্তান। তাঁরা হলেন আলবেলি আফিফা শশী, মাসুদ মনোয়ার স্মরণ ও হক মিনাল্লাহ সেতার। ইতিমধ্যে দুই ছেলে আবাসন ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন। রবিউল হকের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম মারা গেছেন। পরে ১৯৯৫ সালে মারুফা ইয়াসমিনকে বিয়ে করেন।
জীবন নিয়ে নিজের মধ্যে কোনো আফসোস নেই, এমনটাই জানালেন শেখ রবিউল হক। বললেন, ‘আমি আমার জীবনে এক কাঠা জমি কিনিনি। ব্যাংক ব্যালান্সও সেভাবে নেই। সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়িয়েছি। সুখী মানুষ।’
শেখ রবিউল হক বলেন, ‘জীবন নিয়ে আনন্দিত। কবিতা লিখছি। ছবি আঁকছি। অনেক মানুষের সান্নিধ্য পেয়েছি; ভালোবাসা পেয়েছি। জীবনে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে…।’
আলাপচারিতার শেষ দিকে নিজের লেখা প্রিয় একটা কবিতা আবৃত্তি করে শোনালেন সফল এই ব্যবসায়ী—
চিন্তাচেতনায় মগ্ন ভগ্ন আমি।
পৃথিবী ঘুমিয়ে পড়েছে,
ঘুমিয়ে পড়েছি আমি।
স্বপ্নের দরজা পেরিয়ে
বেরিয়ে পড়েছি বিশ্বভ্রমণে
পকেটে হাত দিয়ে দেখি
না টাকা, না পয়সা
না ডলার, না পাউন্ড
শুধু ভরসা অন্তর্যামী।
আরও পড়ুন