Advertisement

অভিনেত্রী ভাবনার শোবার ঘর লাগোয়া ছাদে আছে কৃত্রিম জলধারা, দেখুন অন্দরসাজ

প্রথম আলো

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

রাজধানীর ধানমন্ডির একটি সুউচ্চ দালানের সবচেয়ে ওপরের তলায় একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। ছিমছাম সাজানো–গোছানো বাসা, তবে এই বাসার বিশেষত্ব হলো বাসার ছাদ। ঘরের লাগোয়া ছাদটি এই বাড়ির বাসিন্দাদের যেন প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে আসে।

ভাবনা জানালেন বাসাটির ইন্টেরিয়র করার সময় ছাদের দিকে দেয়ালের বদলে স্বচ্ছ কাচের স্লাইডিং দরজা ব্যবহার করা হয়, যাতে দরজা খুলে বাইরের খোলা ছাদের মনোরম দৃশ্য দেখে যে কেউই মুগ্ধ হতে পারেন।

আজ থেকে ১২ বছর আগে বাড়িটি কিনেছিলেন অভিনেত্রীর বাবা। ভাবনা জানালেন বাসার অভ্যন্তরীণ নকশার সিংহভাগই করা হয়েছে মায়ের পছন্দে। এ বাড়িতেই কৈশোর কেটেছে ভাবনার। নিজেদের শোবার ঘরগুলো নিজেদের পছন্দমতো সাজিয়ে নিয়েছেন ভাবনা ও তাঁর বোন।

যেহেতু ইট-পাথরের শহরে প্রকৃতিকে কাছে পাওয়া অসম্ভব, তাই উঁচুতলার ভবনে থাকতে বেশি পছন্দ করেন ভাবনা। কারণ জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, সেখানে আকাশ ও পাখিদের কাছাকাছি থাকা যায়। খানিকটা হলেও ধুলাবালি আর শব্দদূষণ থেকে দূরে থাকা যায়।

ভাবনার শোবার ঘরের স্লাইডিং দরজা সরিয়ে বাইরে খোলা ছাদে পা রাখলেই দেখা মিলবে ওপরে খোলা আকাশ আর সামনে একটি কৃত্রিম জলাধারের। দেয়ালের ওপর থেকে ঝরে পড়া পানির কলকল শব্দ কেমন যেন ঝরনার অনুভব এনে দেয়। শব্দদূষণের এই শহরেও বাইরের সব শব্দকে ম্লান করে দিচ্ছে ঝরনার পানির শব্দ।

ভাবনা বলেন, অন্য রকম এক প্রাকৃতিক প্রশান্তি দেয় জায়গাটি। পানি এবং সবুজে মিলে প্রকৃতির আনন্দও অনুভব করা যায়। পানির চঞ্চলতা চারপাশ ঠান্ডা রাখে। তাই প্রচণ্ড গরমের দিনেও বাসায় আরামদায়ক আবহ বজায় থাকে।

পুরো পৃথিবীতে ভাবনার প্রিয় জায়গা হচ্ছে তাঁর নিজের ঘর। কাজ ও সামাজিকতার ফাঁকে নিজের সঙ্গই বেশি পছন্দ করেন এই শিল্পী। বাসায় থাকলে সেখানেই সবচেয়ে বেশি সময় কাটে তাঁর। হাঁটতে ইচ্ছা হলে ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যান ছাদে।

জলাধারের চারপাশে একা মনে হাঁটেন, কখনোবা বসে থাকেন জলরাশির বেদিতে। আবারও ফিরে আসেন নিজের ঘরে। ‘একা থাকলে কাজ নিয়ে, কাজের গল্প নিয়ে দারুণভাবে ভাবতে পারি’, বলছিলেন ভাবনা।

অভিনয়ের পাশাপাশি ছবিও আঁকেন ভাবনা। ঘরের লাগোয়া এই খোলা ছাদে বসে ছবি আঁকেন। মাঝে মাঝে লিখে ফেলেন দু-একটা কবিতাও। ভাবনা বলেন, একাকী ভাবতে পারলে অনেক কাজই করে ফেলা যায়।

জানা যায়, ভীষণ ঘরকুনো স্বভাব ভাবনার। কাজ না থাকলে বাড়িতেই থাকেন তিনি। সুযোগ পেলেই সময় কাটান মায়ের সঙ্গে। দুজনে চায়ের কাপ হাতে গল্প করতে করতে একসঙ্গে এই ছাদে হাঁটেন। বোন এবং বাবা বাড়িতে থাকলে তাঁরাও যোগ দেন এই ছাদের আড্ডায়।

Lading . . .