Advertisement

শ্রমিকের পাওনা পরিশোধে নাসা গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত

প্রথম আলো

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনছবি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনছবি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে

২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নাসা গ্রুপের অন্যতম মালিক নজরুল ইসলাম মজুমদারের কাছ থেকে সম্পত্তি বিক্রির জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নিয়ে তাদের সম্পদ বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে এবং শ্রমিকের চলতি মাসের বেতন–ভাতা পরিশোধের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।

শুধু তা–ই নয়, এ সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠান চালু রাখা অথবা বন্ধ করার সিদ্ধান্তও জানাতে হবে নাসা গ্রুপকে। নইলে মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং নাসা গ্রুপের মালিক, মালিকের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের পাসপোর্ট বাতিল করা হবে।

সচিবালয়ে আজ মঙ্গলবার শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আজ রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লা পান্না, অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার, শ্রমসচিব মো. সানোয়ার জাহান ভুঁইয়া, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও শাহ্‌জালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নাসা গ্রুপের যত সম্পত্তি

বিজ্ঞপ্তিতে নাসা গ্রুপের মালিকপক্ষের সম্পদের বিবরণও তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে গুলশান-১–এ ১২ তলার ২টি ভবন, গুলশান-১–এ দখল করা বাসা (যেখান থেকে নজরুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়) এবং গুলশানে ৭১ নম্বর প্লটে ১ বিঘা জমি, যা পারটেক্স গ্রুপের কাছ থেকে কেনা।

তেজগাঁও শিল্প এলাকায় মহাখালী বাসস্ট্যান্ডের পাশে রয়েছে ৩ বিঘা জমির ওপর নাসার প্রধান কার্যালয়, তেজগাঁও আড়ংয়ের বিপরীতে ৭ বিঘা জমি, আড়ংয়ের পাশে লাগোয়া গাজী গ্রুপ থেকে কেনা ৭ বিঘা জমি, মহাখালী ডিওএইচএসের মসজিদের পাশে ১০ কাঠা জমি, ঢাকার নিকেতনে ১০ বিঘা জমি এবং ঢাকায় মেয়ে আনিকার নামে একাধিক প্লট।

ঢাকার উত্তরায় রয়েছে ১০ বিঘা জমি, উত্তরা মাসকট প্লাজার পশ্চিমে ফার্নিচারের দোকান, উত্তরা–১৩ নম্বর সেক্টরে একটি প্লট এবং দিয়াবাড়িতে ৩ প্লট মিলে ৪ দশমিক ৫ বিঘা জমিতে ৪০০ কোটি টাকা দামের সুইমিংপুল, মসজিদ ও গেস্ট হাউস।

নাসা গ্রুপের পূর্বাচলের কাছাকাছি ৩০০ ফুট এলাকায় রয়েছে ২ বিঘা জমি। এ ছাড়া রয়েছে আবাসন প্রকল্প জলসিঁড়ির (সেক্টর-১৭) কাছে একটি কাঁচা মার্কেট, হাতিরঝিল প্রকল্পে বড় দুটি খেজুরের ডিপো, যাতে ১০ কোটি টাকার খেজুর আছে, পূর্বাচলে ২০টি প্লট ও ২ দশমিক ৫ বিঘার ওপরে একটি হাসপাতাল, জলসিঁড়ি সেক্টর-১৭–তে নজরুল ইসলাম মজুমদারের নামে ২ দশমিক ৫ বিঘা জমির ওপর ১০০ কোটি টাকা দামের মার্কেট, জলসিঁড়ি-২ নম্বর সেক্টরে ৮টি প্লট রয়েছে, জলসিঁড়ি নীলা মার্কেটের সামনে পুলিশ হাউজিংয়ের বিপরীতে ৩০ বিঘা জমি এবং ৩০০ ফিটের কাছে ৩০ বিঘা জমি রয়েছে।

এ ছাড়া মেঘনা ঘাটে ওয়্যারহাউস ও পেট্রলপাম্প, মেঘনা ঘাটে আরও ১০ বিঘা জমি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩০০ বিঘা জমি, চাঁদপুরে বড় একটি মার্কেট, দুবাইয়ে খেজুরবাগান ও দুবাই রিসোর্ট এবং ২৪ কোটি টাকার ভবিষ্য তহবিল রয়েছে এক্সিম ব্যাংকে।

আরও পড়ুন

Lading . . .