Advertisement
  • হোম
  • চাকরি
  • ২০২৫ সালে পেশাজীবন ও ব্যক্তিজীবনে ভারসাম্যের সেরা ...

২০২৫ সালে পেশাজীবন ও ব্যক্তিজীবনে ভারসাম্যের সেরা ১০ দেশ

প্রথম আলো

প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

বিশ্বজুড়ে কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য খোঁজা এখন অনেক বড় চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। এটা নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা আছে। কেউ বলেন, এটা সম্ভব, কেউ বলেন, না এটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। এ প্রেক্ষাপটে মানবসম্পদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘রিমোট’ ২০২৫ সালের বিশ্বের সেরা ওয়ার্ক–লাইফ ব্যালান্সের দেশগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ জিডিপির শীর্ষ ৬০ দেশের তথ্য বিশ্লেষণ করে এক জরিপের ভিত্তিতে এ সূচক তৈরি করা হয়েছে।

বার্ষিক ছুটি, অসুস্থতাকালীন ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটিজনিত সুবিধা, ন্যূনতম মজুরি, স্বাস্থ্যসেবা, সাপ্তাহিক গড় কর্মঘণ্টা, এলজিবিটিকিউ+ অন্তর্ভুক্তি এবং জাতীয় সুখসূচক ইত্যাদি বিবেচনায় এ সূচক তৈরি করা হয়েছে। তালিকার শীর্ষ ১০টি দেশ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক আজকে।

সূচকে স্কোর: ৮৬.৮৭

তালিকার শীর্ষে আছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির কর্মীরা উচ্চ মজুরি পান, মেলে ২৬ সপ্তাহের বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি। বার্ষিক পর্যাপ্ত ছুটিও মেলে দেশটিতে। দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও স্বস্তিদায়ক জীবনধারার জন্য নিউজিল্যান্ড প্রবাসীদের জন্যও স্বপ্নের গন্তব্য।

সূচক স্কোর: ৮১.১৭

‘ওয়ার্ক–লাইফ ব্যালান্স’–এর তালিকার দ্বিতীয় দেশ আয়ারল্যান্ড। বছরে ৩০ দিনের ছুটি এবং ২৬ সপ্তাহের সম্পূর্ণ বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটি কর্মজীবন ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। সাম্প্রতিক নতুন আইন কর্মক্ষেত্রে নমনীয় কাজের সুযোগ আরও নিশ্চিত করেছে।

সূচক স্কোর: ৭৫.৯১

বেলজিয়ামের গড় সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা মাত্র ৩৪ দশমিক ১। পাশাপাশি এখানে রয়েছে শক্তিশালী সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা ও নমনীয় কাজের পরিবেশ। ফলে কর্মীরা পরিবার ও অবসরের জন্য পর্যাপ্ত সময় পান।

সূচক স্কোর: ৭৪.৬৫

কর্মক্ষেত্রে শৃঙ্খলার জন্য পরিচিত দেশ জার্মানি। জার্মানদের গড় সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা মাত্র ৩৩ দশমিক ২। ৩০ দিনের বার্ষিক ছুটি এবং কর্মীদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ রক্ষায় নানা নীতিমালা দেশটিকে এগিয়ে রেখেছে কাজ ও দৈনন্দিন জীবনের ভারসাম্য।

সূচক স্কোর: ৭৪.২০

সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, বেতনসহ দীর্ঘ ছুটি ও স্বল্প কর্মঘণ্টা নরওয়েকে কাজের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশের একটি দেশের মর্যাদা দিয়েছে। পাশাপাশি চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নিরাপদ জীবনযাপনেও এগিয়ে দেশটি।

সূচক স্কোর: ৭৩.৭৬

উচ্চ করনীতির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা ও ছুটির সুবিধা ভোগ করেন ডেনমার্কের মানুষ। এ সুবিধা ইউরোপের অন্যতম সুখী দেশে পরিণত করেছে নর্ডিক এ দেশটিকে। পূর্ণ বেতনসহ অসুস্থতাকালীন ছুটি ও কর্মক্ষেত্রে পরিবেশের কারণে অনেক এগিয়ে দেশটি।

সূচক স্কোর: ৭৩.৭৬

এলজিবিটিদের অন্তর্ভুক্তি, স্বাস্থ্যসেবার সহজপ্রাপ্যতা ও সামগ্রিক জীবনমানের কারণে কানাডা তালিকায় এগিয়ে রয়েছে। টরেন্টোর মতো শহরগুলোতে কর্মীরা নমনীয় কাজের সুযোগ ও বহু সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা লাভ করেন।

সূচক স্কোর: ৭২.১০

সমুদ্র, রোদঝলমলে আবহাওয়া ও স্বস্তিদায়ক কর্মসংস্কৃতির জন্য অস্ট্রেলিয়া বিখ্যাত। এখানে উচ্চ মজুরি ও শক্তিশালী সরকারি স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি একটি স্বাচ্ছন্দ্যময় কাজের পরিবেশ রয়েছে।

সূচক স্কোর: ৭১.৯৪

স্পেন তার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, বৈচিত্র্যময় জীবনধারা ও সামাজিক রীতিনীতির জন্য পরিচিত। শহরাঞ্চলে ঐতিহ্যবাহী ‘সিয়েস্তা’ কমে গেলেও কর্মীরা এখনো পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সময় উপভোগ করেন।

সূচক স্কোর: ৭০.৮৬

বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর একটি ফিনল্যান্ড। এখানে রয়েছে নমনীয় কর্মঘণ্টা, উন্নত ও নিরাপদ কর্মসংস্কৃতি এবং বছরে ৩৬ দিনের বার্ষিক ছুটির সুবিধাই দেশটির অন্যতম মূল শক্তি।

এ তালিকা থেকে স্পষ্ট, কেবল উচ্চ মজুরি নয়; বরং কর্মঘণ্টার ভারসাম্য, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা ও সুখী জীবনযাপনের সুযোগও একটি দেশের কাজের পরিবেশকে মানসম্মত করে তোলে।

আরও পড়ুন

Lading . . .