চট্টগ্রাম চেম্বারের নতুন প্রশাসক নূরুল্লাহ নূরী
প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম চেম্বারের নতুন প্রশাসক হিসেবে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার এক বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারের অনুমোদনক্রমে নূরীকে এই নিয়োগ দেয়া হলো।
সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমীনের স্বাক্ষরে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বাণিজ্য সংগঠন আইন-২০২২ এর ১৭ ধারা মোতাবেক জারি করা এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে চলমান নির্বাচন কার্যক্রম সম্পন্ন না করা পর্যন্ত ‘দি চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি- এর প্রশাসক হিসেবে নির্দেশক্রমে নিয়োগ করা হলো।’
এদিকে সোমবার সকালে আনোয়ারা পাশার অপসারণ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ব্যবসায়ী ফোরামের ব্যানারে চট্টগ্রাম চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। সকালে বিক্ষোভ ও বিকেলে তাকে সরিয়ে দেয়ার খবর আসায় আন্দোলনকারী ব্যবসায়ীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, বিগত সরকারের পতনের পর ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বাধীন চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালনা বোর্ড পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এর পর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশাকে চেম্বারের প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। চেম্বারের সদস্যপদ যাচাই-বাছাইসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে একটি নির্বাচনের আয়োজনের জন্যই মূলত সরকার তাকে চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসক নিয়োগ করে। কিন্তু যথাসময়ে তিনি নির্বাচন আয়োজন যেমন করতে পারেন নি; তেমনি ব্যবসায়িরা চেম্বারে যে ধরনের সংস্কার চেয়েছিলেন সেই সংস্কারও তিনি করেন নি। যে কারণে ব্যবসায়ীরা চেম্বার প্রশাসক পদ থেকে তাার অপসারনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ গতকাল সোমবার সকালে আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চেম্বার ভবনের সামনে বৈষম্যবিরোধী ব্যবসায়ী ফোরামের ব্যনারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচি থেকে আনোয়ারার পাশার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে তার অপসারণ দাবি করা হয়।
সোমবার সকালে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ আর বিকেলে নতুন প্রশাসক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ায় আন্দোলনকারী ব্যবসায়ীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, প্রকৃত ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ, অন্তর্ভুক্তি ও সরাসরি ভোটে চট্টগ্রাম চেম্বারের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে চান তারা। অতীতে যেভাবে চেম্বারকে জিম্মি করে ফ্যাসিবাদি চক্র ব্যবসায়ীদের পরিবর্তে নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত ছিল সে ধরনের কোনো নেতৃত্ব তারা চান না। নতুন প্রশাসক ব্যবসায়িদের আকাঙক্ষা অনুযায়ী অতি দ্রুত একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করবেন বলে তারা বিশ্বাস করেন।