Advertisement

আটপাড়ার সেই ইউএনওকে প্রত্যাহার

যুগান্তর

প্রকাশ: ২৩ আগস্ট, ২০২৫

রুয়েল সাংমা। সংগৃহীত ছবি
রুয়েল সাংমা। সংগৃহীত ছবি

লাঠি দিয়ে এক তরুণকে পেটানোর ঘটনায় নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুয়েল সাংমাকে অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে প্রত্যাহার করা হয়। বিসিএস ৩৪ ব্যাচের কর্মকর্তা রুয়েল সাংমা গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর আটপাড়ায় যোগদান করেন। তরুণকে পেটানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পরবর্তী পদায়নের জন্য তাকে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ময়মনসিংহে ন্যস্ত করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা, মামলার আরজি ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে গত ২৪ মার্চ দুপুরে আটপাড়ার বানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়। সেখানে চাল নিতে আসা উপকারভোগীরা সিরিয়াল না মানায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এছাড়া চাল পাচারের খবর পেয়ে ইউএনও রুয়েল সাংমা সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় ইউএনও লাঠি দিয়ে এক উপকারভোগীর ছেলে দুর্জয় মিয়াকে (১৮) মারধর করেন। ঘটনার পাঁচ মাস পর মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রায়হান কবীর গত ১২ আগস্ট আটপাড়া আমলি আদালতে ইউএনওর বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। এ নিয়ে যুগান্তরে গত ১২ আগস্ট ‘পুলিশের লাঠি নিয়ে তরুণকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল, ইউএনওর বিরুদ্ধে মামলা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও রুয়েল সাংমা ফোন ধরেননি। তবে এর আগে তিনি যুগান্তরকে বলেছিলেন, ‘আমি কাউকে মারধর করিনি। আমাকে নিয়ে বিভিন্ন মহলের চক্রান্ত চলছে।’ মামলার বাদী রায়হান কবীর জানান, মারধরের ঘটনার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। ইউএনও ওই দিন দুপুরে পুলিশ নিয়ে পরিষদে উপস্থিত হয়ে লাঠি দিয়ে দুর্জয়কে মারধর করে একপর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ে যান। তিনি বলেন, একজন নিরীহ নাগরিককে সরকারি আমলা হয়ে ইউএনও এভাবে মারধর করতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ ও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ায় ন্যায়বিচারের দাবিতে আমি ছয়জনকে সাক্ষী করে মামলা করেছি। মারধরের ভিডিটিও সংযুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

Lading . . .