আসন কমানোর প্রতিবাদে ৪৮ ঘণ্টার হরতালে অচল চিতলমারী
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাগেরহাট জেলায় ৪টি সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকে নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালন করছেন।
তৃতীয় দফা হরতালের প্রথম দিন সড়কে যান চলাচল সীমিত রয়েছে। বাগেরহাটের সব উপজেলা থেকে দূরপাল্লার সব ধরনের বাস বন্ধ রয়েছে। হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ করেছেন সর্বদলীয় সম্মিলিত নেতাকর্মী সমর্থকরা।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-মাওয়া-পিরোজপুর-বাগেরহাট চিতলমারী ও খুলনা সড়কের মচন্দপুর মোড়ে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। হরতালের সমর্থনে উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণী কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কার্যত অচল হয়ে পড়েছে চিতলমারী।
কর্মসূচিতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এ হরতালের সমর্থন জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
হরতাল চলাকালীন রাস্তায় ভ্যানগাড়ি, কিছু মাহেন্দ্র ও অটোভ্যান ছাড়া অন্য কোনো যান চলাচল করেনি। জরুরি পরিষেবার বাইরে সব দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। চিতলমারী কার্যত সারা দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুনিয়া বাসস্ট্যান্ডে হরতালের সমর্থনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা বিএনপির সভাপতি মমিনুল হক টুলু বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হাসান অপু, জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মনিরুজ্জামান, সেক্রেটারি জাহিদুজ্জামান নান্না, উপজেলা বিএনপির সংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফজলুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উপজেলা শাখার সভাপতি ডা. কাজী আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহাদাৎ হোসেন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া মিলন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নেয়ামত আলী খান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন ছিল। হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশন একটি আসন বাদ দিয়ে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে। এতে বাগেরহাট জেলার সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। বাগেরহাটে ৪টি সংসদীয় আসন যেভাবে ছিল সেভাবে ফিরিয়ে দিতে হবে, তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।