Advertisement

বিএনপি-জামায়াতের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের শোডাউন

যুগান্তর

প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উদযাপনকে কেন্দ্র করে দুদিন ধরে নানা আয়োজনে মাতোয়ারা চট্টগ্রাম। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বিজয় শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিনটি উদযাপন করেছে। পাশাপাশি বৃহৎ এ দুই রাজনৈতিক দলের নেতা ও জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হাজারও নেতাকর্মী নিয়ে এলাকায় এলাকায় করেছেন শোডাউন। এর মাধ্যমে তারা ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের বর্ষপূর্তি উদযাপনের পাশাপাশি নতুন বাংলাদেশে বিনির্মাণ ও গণতন্ত্রে উত্তরণের কথা জানান দিয়েছেন এলাকাবাসীর কাছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার জুলাই সনদ ঘোষণার পাশাপাশি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। এ বার্তা পাওয়ার পর বিএনপি নেতারা বলছেন, বিজয় উৎসবের মাধ্যমে তারা নির্বাচনি প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এখন কেউ নির্বাচনের বিরোধিতা করলে এটা তাদের বিষয়। তারা এ মুহূর্তে নির্বাচন ছাড়া আর কিছুই ভাবছেন না। প্রধান উপদেষ্টার মুখ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট বার্তা আসায় জনমনেও ফিরে এসেছে স্বস্তি। চট্টগ্রাম মহানগরী ছাড়াও পটিয়া, আনোয়ারা, সাতকানিয়া, হাটহাজারী, মীরসরাই, রাঙ্গুনিয়া, সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াতের মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতারা শোডাউন করেন মঙ্গলবার। বুধবার চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন দিবস উপলক্ষ্যে ‘জনতার বিজয় র‌্যালি’র আয়োজন করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির হাজারও নেতাকর্মী এই আয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। এখানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। এ সময় তিনি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে আগেই। ঘোষিত এই তালিকায় খুব একটা পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা নেই। তবে প্রতিটি আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক নেতা রয়েছেন। কয়েকজন হেভিওয়েটের প্রার্থিতা নিশ্চিত হলেও বেশিরভাগ আসনে মনোনয়ন পেতে শুরু হবে নেতায় নেতায় ‘যুদ্ধ’। সেই যুদ্ধ সংসদীয় এলাকায় নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়ার যুদ্ধ। শোডাউনের মাধ্যমে কেন্দ্রে দৃষ্টি আকর্ষণের যুদ্ধ।

হাটহাজারী সদর বাস স্টেশন চত্বরে মঙ্গলবার গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষ্যে বিজয় শোভা যাত্রা বের হয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে। এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী তিনি। শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে মীর হেলাল বলেন, ‘তারেক রহমানের আহ্বানে ধানের শীষে ভোট দিন, আমরা নতুন বাংলাদেশ উপহার দেব।’ একই দিন আনোয়ারা-কর্ণফুলী সংসদীয় আসনে বিশাল শোডাউন করেন এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস। পটিয়ায় বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামের নেতৃত্বে বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়। পটিয়ায় জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ডা. ফরিদুল আলমের নেতৃত্বে বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয় মঙ্গলবার। এ আসন থেকে জামায়াতের প্রার্থী হিসাবে আগেই ডা. ফরিদের নাম ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।

মীরসরাইয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আমিন, সীতাকুণ্ডে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লায়ন আসলাম চৌধুরী, রাউজানে বিএনপি নেতা হুম্মাম কাদের চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল শোডাউন ও মিছিল করা হয়। হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, এ বিজয় শোভাযাত্রা থেকেই তারা নির্বাচনি প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এখন আর পেছনে তাকানোর সুযোগ নেই।

চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার নগরীতে বিশাল শোভাযাত্রা শেষে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি নুরুল আমিন, কোতোয়ালি আসনে জামায়াত প্রার্থী ডা. ফজলুল হকসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন।

আরও পড়ুন

Lading . . .