Advertisement

চিকন শিশুকে মোটা বলায় সংঘর্ষ, আহত ১০

কালবেলা

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা। ছবি : সংগৃহীত
দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা। ছবি : সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে এক শিশুকে মোটা বলাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাত ১০টায় উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি শিশু শারীরিকভাবে অত্যন্ত চিকন হওয়ায় তার সহপাঠীরা তাকে মোটা বলে পরিহাস করে। সে ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে শাখারিয়ার দাস পাড়ায় সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় লাঠিসোঁটা, রড, হাসুয়া ও দা নিয়ে উভয়পক্ষ একে অপরের বাড়িতে প্রবেশ করে হামলা চালায়। সংঘর্ষে দুপক্ষের তিন নারীসহ অন্তত ১০ জন গুরুতর জখম হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের মাথা কেটে ও হাত ভেঙে গেছে।

ভুক্তভোগী প্রশান্ত কুমার দাসের অভিযোগে বলা হয়েছে, নিত্য দাস ও তার পরিবার বেআইনিভাবে তাদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। এ সময় প্রশান্ত কুমারের ভাইপো মাইকেল দাসকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় এবং তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করা হয়। প্রশান্ত কুমার নিজেও বাম হাতে গুরুতর জখম হয়েছেন। তার মা আরুতি দাস ও বাবা শঙ্কর দাসকেও মারধর করা হয়। এছাড়া হামলার সময় তার পকেট থেকে ১৩ হাজার টাকা ও হাতে থাকা একটি সোনার আংটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

অন্যদিকে ভুক্তভোগী সোনা দাস লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রশান্ত দাস, প্রভাস দাস ও তাদের পরিবারের সদস্যরা তাদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। এ সময় প্রশান্ত দাস তার ভাই সীমান্ত দাসকে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কোপ মেরে গুরুতর জখম করেন। আহত সীমান্ত দাস মাটিতে পড়ে গেলে তাকে উদ্ধার করতে গেলে সোনা দাস নিজেও মারধরের শিকার হন। প্রভাস দাস তার বাম হাতের আঙুলে কোপ দেন। হামলার সময় তাদের মা মিনতি রানী দাস ও ভাবি কমলা দাসীর কাপড় টেনে শ্লীলতাহানির অভিযোগও করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে জীবননগর থানার ওসি মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, এক শিশুকে মোটা বলাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উভয়পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Lading . . .