যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশ: কুষ্টিয়ার সেই ভবনে দুদকের হানা
প্রকাশ: ৭ আগস্ট, ২০২৫

দৈনিক যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে অভিযান চালিয়েছে দুদক। বাণিজ্যিক ওই ভবনে দোকান বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির একটি তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক যুগান্তর। ৪ আগস্ট এ সংবাদ প্রকাশের পর জেলাজুড়ে শুরু হয় হৈ চৈ। তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বুধবার বেলা ১২টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ায় এনএস রোডে জেলা পরিষদের কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক।
দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনিই অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
যুগান্তরের এই সংবাদে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের নয়তলা বিশিষ্ট ওই বাণিজ্যিক ভবনে দোকান বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হয়। অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে বরাদ্দের এসব দোকান লুটে নেয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
প্রায় ৪১ কাঠার ওপর নির্মিত ভবনের শতাধিক দোকানই দেওয়া হয়েছে কার্যত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ অনুসারীদের। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই বাণিজ্যিক ভবনটি তখন আওয়ামী লীগ নেতা ও তাদের স্ত্রী-সন্তান এবং স্বজনরা লুটে নিয়েছেন।
দুদকের সমন্বিত কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের বিজন কুমার রায় বলেন, দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে দোকান বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আজকে আমরা জেলা পরিষদে অভিযান পরিচালনা করেছি। জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। আরও বেশকিছু নথিপত্রের ফটোকপি দেওয়ার জন্য তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুদকের অভিযান চলাকালে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, দুদকের একটি টিম অভিযান চালিয়েছে। আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। তারা নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন। দোকান বরাদ্দে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি আমার জানা নেই। যে বা যারা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।