Advertisement

হাটের ইজারায় ফাঁকি: সাবেক মেয়রসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

যুগান্তর

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ও রুস্তমপুর হাট-বাজার ইজারার ইজারামূল্য এবং ভ্যাট ও ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ায় মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে আড়ানী পৌরসভার সাবেক মেয়র মুক্তার আলী ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কার্ত্তিক চন্দ্র হালদারসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

অন্য আসামিরা হলেন- রুস্তমপুর হাটের সাবেক ইজারাদার মামুন হোসেন, আবুল খায়ের সুমন ও একরামুল হক, আড়ানী হাটের সাবেক ইজারাদার ওবাইদুল ইসলাম, ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. আসাদুজ্জামান, পৌরসভার সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব শহিদুল ইসলাম।

মামলার বাদী জানান, মুক্তার আলী আড়ানী পৌরসভার মেয়র ও কার্ত্তিক চন্দ্র হালদার ভারপ্রাপ্ত মেয়র পদে দায়িত্বে থাকাকালে ২০১৬-১৭ থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে হাট-বাজার ইজারা দেন। নীতিমালা অনুযায়ী, ইজারাদারকে ইজারামূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ আয়কর দিতে হয়। সাত দিনের মধ্যে এই টাকা জমা দিয়ে ইজারার চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করতে হয়। কিন্তু ইজারাদাররা দরপত্রের সঙ্গে শুধুমাত্র প্রস্তাবিত ইজারা মূল্যের ৩০ শতাংশ বিডি আকারে জমা দিয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা আর কোনো টাকা জমা দেননি।

তা সত্ত্বেও পৌর কর্তৃপক্ষ নীতিমালার শর্ত ভঙ্গ করে ইজারার সম্পূর্ণ অর্থ আদায় না করে এবং ইজারার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর না করে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ইজারাদারদের আড়ানী ও রুস্তমপুর হাট-বাজার ইজারা দিয়েছেন

তারা ইজারা মূল্যের কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৫ টাকা , ভ্যাট বাবদ ১৫ লাখ হাজার ২২৬ টাকা আয়কর বাবদ লাখ ৫০ হাজার ১৭ টাকা জমা দেননি পৌর কর্তৃপক্ষের মোট পাওনা ছিল কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ১০৮ টাকা এই টাকা তারা সবাই মিলে আত্মসা করেছেন

দুদক জানিয়েছে, পৌর কর্তৃপক্ষ নিয়ম বহিভূর্তভাবে ইজারাদারদের কাছ থেকে বিবিধ রশিদ মূলে ইজারার টাকা গ্রহণ করে পৌরসভার হিসাবে জমা দেননি। তারা পরস্পর যোগসাজশে এই টাকা লুটপাট করেছেন। দীর্ঘ অনুসন্ধানকালে এই দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই মামলা করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি ইতোমধ্যে আদালতকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে দুদক।

প্রসঙ্গত, বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার আলী গত ফেব্রুয়ারিতে গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি এখন রাজশাহী কারাগারে আছেন। পৌরসভার গাড়ি না থাকলেও মেয়রের দায়িত্বে থাকাকালে মুক্তার আলী নিয়ম বহির্ভূতভাবে পৌর তহবিল থেকে জ্বালানি তেল খরচ বাবদ ১৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন।

এছাড়া পাঁচজন ভুয়া কর্মচারী নিয়োগ দেখিয়ে বেতন-ভাতা বাবদ তুলে নিয়েছেন ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এ দুই অভিযোগে গত মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা করেছে দুদক।

Lading . . .