প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

প্রায় আড়াই বছর পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুরু হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। সোমবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় প্রথম চালানে ভারতের একটি ট্রাকে করে ১৫ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো বাগেরহাটের এসএম ওয়েল ট্রেডার্স এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ন্যাশনাল ট্রেডিং করপোরেশন।
জানা গেছে, প্রতি টনের আমদানি মূল্য ধরা হয়েছে ৩০৫ ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। আমদানি পেঁয়াজ বাজারে মান ভেদে ৫৮ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে পারে।
এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় প্রথম দিনেই স্থানীয় বাজারে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা কমেছে দাম। আমদানি কমের অজুহাতে রেবাবারও (২৪ আগস্ট) দেশীয় বাজারে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ।
আমদানিতে নানা প্রতিবন্ধকতায় ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে বন্ধ ছিল বেনাপোল রুটে পেঁয়াজের আমদানি।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, এর আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছিল। পরে ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছিল। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় এ খাদ্যদ্রব্যটি কিনতে গুনতে হচ্ছিল অতিরিক্ত টাকা। অবশেষে সরকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়।
আলতাফ হোসেন নামে একজন পেঁয়াজ ক্রেতা বলেন, ‘আমদানির খবরে প্রথম দিনে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ৫ টাকা। এতে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা যে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছিল সেটা বোঝা গেল।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী শ্যামল কুমার নাথ জানান, প্রথম চালানে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৫ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। পেঁয়াজের মান পরীক্ষা শেষে বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।