Advertisement

বেনাপোলে অবৈধ পণ্য আটক: তদন্তে নড়েচড়ে বসেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ

যুগান্তর

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

24obnd

বেনাপোল বন্দর এলাকা থেকে কাগজপত্রবিহীন বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক হওয়ার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি তদন্তে ডেপুটি পরিচালক রাশিদুল সজীব নাজিরকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তবে কারা এ ধরনের অবৈধ শুল্ক ফাঁকির কাজে জড়িত, তাদের এখনো শনাক্ত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

বন্দর সূত্র জানায়, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে বন্দরের কার্গো ভেহিকেলস টার্মিনালে ভারতীয় একটি ট্রাক থেকে গোপনে বাংলাদেশি আরেকটি ট্রাকে পণ্য খালাস করে বের হয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি সদস্যরা বাইপাস সড়ক থেকে ট্রাকসহ দুইজনকে আটক করে। পরে তল্লাশিতে ওই ট্রাকে ১ হাজার ৪৭৬ পিস শাড়ি, ২১৫ পিস থ্রি-পিস, মোটরসাইকেলের টায়ার ২টি, বিভিন্ন ধরনের ১০ হাজার ৬৯৩ পিস ওষুধ, ৭৪ হাজার ৪৫৫ পিস কসমেটিকস এবং একটি কার্গো ট্রাক জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ২ কোটি ৫৫ লাখ ৬১ হাজার ৯৩০ টাকা।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি দ্রুত রিপোর্ট জমা দেবে। রিপোর্টের ভিত্তিতেই জড়িতদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বেনাপোলের কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে একটি সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। এই চক্র কাগজপত্রবিহীন পণ্য আমদানিতে বন্দর, কাস্টমস ও আনসারের অসাধু কিছু সদস্যকে ম্যানেজ করে পণ্য পাচার করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশ হলেও সিন্ডিকেটের সদস্যদের শনাক্ত করা যায়নি। এতে পরিচ্ছন্ন ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে রয়েছেন।

এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামীম রেজা বলেন, সিসি ক্যামেরার আওতার বাইরে ট্রাক থেকে পণ্য খালাসের পর গভীর রাতে বন্দরের বাইরে বের হওয়ার সময় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি পণ্যসহ ট্রাক আটক করে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, রিপোর্টেই বোঝা যাবে কারা এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

তিনি আরও জানান, এসব সিন্ডিকেটের কারণে প্রতি বছর সরকার শত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এদিকে বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করেই ফোন কেটে দেন।

আরও পড়ুন

Lading . . .