Advertisement

এমপি রণজিতের ঘনিষ্ঠ বালি মহালের সাবেক ইজারাদার রতন গ্রেফতার

যুগান্তর

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট, ২০২৫

24obnd

লন্ডনে পালিয়ে থাকা সাবেক এমপি রণজিত চন্দ্র সরকারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সীমান্ত নদী জাদুকাটা বালি মহাল-১ এর সাবেক ইজারাদার রতন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানী ঢাকার ডিএমপির শাহআলী থানা পুলিশ সংক্ষুব্ধ জনতার রোষানল থেকে গ্রেফতার করে তাকে পুলিশি হেফাজতে নেয়।

গ্রেফতার রতন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের ননাই (পূর্বে থাকা সাদেরখলা) গ্রামের তাহের মিয়ার ছেলে। তিনি সাবেক এমপি রণজিত চন্দ্র সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

ডিএমপির শাহআলী থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম আজম যুগান্তরকে বলেন, শাহআলী এলাকার স্থানীয় সংক্ষুব্ধ জনতা রতনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় ৫ আগস্ট পরবর্তী একটি মামলায় এজাহারনামীয় আসামি রতন।

সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবুল কালাম জানান, শাহআলী থানা থেকে রতনকে সুনামগঞ্জ আনা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের খনিজ বালি পাথরসমৃদ্ধ জাদুকাটা-১ বালি মহাল সোহাগ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী রতন মিয়া ও উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত সাদেক আলী তালুকদারের ছেলে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ, জেলা পরিষদের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সদস্য মুজিবুর রহমান তালুকদার জাদুকাটা বালি মহাল-২ যৌথভাবে সিন্ডিকেট প্রক্রিয়ায় ১৪৩১ বাংলা সনের জন্য ইজারাপ্রাপ্ত হন।

জাদুকাটা নদীর দুটি বালি মহাল ইজারার পেছনে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের শাসনামলে জেলা, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপি, মেয়র, ঠিকাদার ও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা সিন্ডিকেট তৈরি করে সরকারকে ভ্যাট, আয়কর, সরকারি মূল্যসহ প্রায় ৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে রতন-মুজিবুরের নামে ইজারা বাগিয়ে নেন।

ইজারা নিতে আগাম একাধিক বৈঠকও করেন তারা। ওই সময়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১০টি করে শিডিউল ক্রয় করা হয়; কিন্তু জমা দেওয়া হয় দুটি করে। দুটির দরপত্র মূল্যও প্রায় কাছাকাছি। ফলে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান রিয়ানের মুজিবুর ও সোহাগ এন্টারপ্রাইজের রতনকে বালুমহালের সর্বোচ্চ দরদাতা মনোনীত করা হয় কৌশলে।

Lading . . .