Advertisement

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জামায়াতের গণমিছিল

কালবেলা

প্রকাশ: ৬ আগস্ট, ২০২৫

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আশাশুনিতে জামায়াতের গণমিছিল। ছবি : কালবেলা
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আশাশুনিতে জামায়াতের গণমিছিল। ছবি : কালবেলা

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি গণমিছিল বের করে। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জনতা ব্যাংক মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা আমির আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান মুকুল, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সবুর, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি চেয়ারম্যান মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক।

উপজেলা সেক্রেটারি মাও. আনওয়ারুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নায়েবে আমির মাও. নুরুল আবছার মুর্তাজা, সাবেক উপজেলা আমির ডাক্তার নুরুল আমিন, আদর্শ শিক্ষক পরিষদ নেতা প্রভাষক দীপ্র কুমার মন্ডল প্রমুখ। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহসেক্রেটারি ডাক্তার রোকনুজ্জামান, মাও. আ. বারী, অফিস সেক্রেটারি মাওলানা রুহুল কুদ্দুস, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মাও. শাহজাহান আলী, বাইতুলমাল সেক্রেটারি মাও. শহিদুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা রিয়াছাত আলী, আইবিডব্লিউএফ -এর সভাপতি এবিএম আলমগীর পিন্টু, সদর ইউনিয়ন আমির হাফেজ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজ জাতীয় মুক্তি দিবস, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দুই হাজার শহীদের রক্তস্নাত বাংলাদেশেকে একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত, দখল মুক্ত দেশ হিসেবে গড়তে চাই। ৩০ হাজার আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ও পুনর্বাসন চাই।

বক্তারা আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকার ষোলোটি বছর মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো হরণ করেছিল। সাধারণ জনগণের সব অধিকারগুলো কেড়ে নিয়ে এ দেশটাকে একটি কবরে পরিণত করেছিল। এদেশে আয়নাঘর তৈরি করে আইয়ামে জাহিলাতের মতো নির্বিচারে প্রতিবাদী ছাত্র-জনতার ওপরে গুলি করে হত্যা করেছিল। প্রায় দুই হাজারের মতো শহীদ এবং অনেককে আহত করে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছিল। অনেক জীবনের বিনিময়ে অর্জিত এই নতুন স্বাধীন দেশে আর কোনো চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ শাসক তৈরি না হয় তার জন্য আজকে আমাদের শপথ নিতে হবে। কেউ যেন বেইমানি না করে এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আসুন আমরা এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করি যেখানে থাকবে না কোনো অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদী চরিত্র।

Lading . . .