Advertisement

শিক্ষকের রাজকীয় বিদায়

যুগান্তর

প্রকাশ: ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কুড়িগ্রামে শিক্ষককে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে রাজকীয় বিদায়।
কুড়িগ্রামে শিক্ষককে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে রাজকীয় বিদায়।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে শিক্ষককে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে রাজকীয় বিদায় দিয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। উপজেলার নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমকে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) এ বিদায় দেওয়া হয়। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে ৩২ বছর শিক্ষকতা করেছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সকালে বিদায়ী শিক্ষককে ঘোড়ার গাড়িতে তুলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বালারহাট বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

শোভাযাত্রা শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- মাধ্যমিক কর্মকর্তা মুহা. মাহতাব হোসেন, নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান মজি, সাধারণ সম্পাদক মুসাব্বের আলী মুসা, জামায়াতের সভাপতি সামচুল হুদা বাবুল, মেঘবাড়ী হাউজিরের চেয়ারম্যান এমদাদুল মিলন, নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হাই, বালারহাট আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেন, রাবাইতাড়ি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসেন আলী ব্যাপারী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এনছার আলী প্রমুখ।

বিদায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ১ আগস্ট ১৯৯৩ সালে থেকে এ বিদ্যালয়ে আছি। গত ১ সেপ্টেম্বর ছিল আমার শেষ কর্মদিবস। প্রিয় জায়গা ছেড়ে যেতে হচ্ছে। এ রকম বিদায় আমাকে অভিভূত করেছে। সবার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার কারণেই আজকের এ বর্ণাঢ্য আয়োজন। সবাই দোয়া করবেন অবসর সময়টা যেন পরিবারকে নিয়ে সুন্দরভাবে কাটাতে পারি।

নাওডাঙ্গা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রধান আব্দুল হানিফ সরকার বলেন, এ প্রতিষ্ঠানে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দীর্ঘ ৩২ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন জাহাঙ্গীর স্যার। আমার সঙ্গে তার পথচলা ২১ বছর। মঙ্গলবার বিদায় নিলেন প্রিয় সহকর্মী। তিনি ছিলেন পরামর্শদাতা ও পথচলার সাথী। তার সুস্থতা ও সুন্দর জীবনের জন্য সবার দোয়া কামনা করছি।

তিনি আরও বলেন, এরকম রাজকীয় বিদায় শুধু আমাদের প্রতিষ্ঠানের এটিই প্রথম। বলতে গেলে বিদ্যালয়ের ইতিহাস হয়ে থাকবে।

Lading . . .