প্রকাশ: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন থেকে একটি আসন কমানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সারাদিন জেলাব্যাপী হরতাল চলছে। জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির আহ্বানে অনুষ্ঠিত এই হরতালে বাগেরহাট থেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ ৪৮টি দূরপাল্লার রুট এবং আন্তজেলা রুটের সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রয়েছে।
হরতালের কারণে জেলার সব উপজেলা সদর ও পৌর শহরেও সর্বাত্মক হরতাল চলছে। এতে সড়ক-মহাসড়ক বন্ধ থাকায় মোংলা বন্দরের মালামাল পরিবহণও বন্ধ, ফলে জেলা সরাসরি বাকি দেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। হরতালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা অফিস এবং সরকারি অফিসও বন্ধ রয়েছে।
বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ জেলা সদরসহ সব উপজেলা প্রশাসনিক অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এই পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি আসন কমিয়ে তিনটি আসন নির্ধারণ করে। এর প্রতিবাদে বাগেরহাটে জনগণ তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। সোমবার হরতাল ঘোষণার আগে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি সংবাদ সম্মেলনে দাবি জানিয়েছে, যদি অবিলম্বে আসন পুনর্বহাল না করা হয়, তবে আগামী বুধবার ও বৃহস্পতিবার টানা ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ঘোষণা দেওয়া হবে।
সর্বদলীয় কমিটির আহ্বায়ক এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘মোংলা বন্দরসহ জেলার অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক অবস্থাকে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের একটি আসন কমিয়েছে। আমরা চারটি আসন পুনরুদ্ধার পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ জেলা জামাতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন জনগণের দাবি উপেক্ষা করেছে। যেকোনো প্রতিবন্ধকতার দায় দায়িত্ব কমিশনকেই নিতে হবে।’